শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনে বাবাছেলেসহ একই পরিবারের ছয়জন প্রার্থী!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ৪৫২ বার পঠিত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ১৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বাবা ও তিন ছেলেসহ একই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন।আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট হবে কিশোরগঞ্জ উপজেলার এ ইউনিয়নে।

জানা গেছে, বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলার রহমানের পাশাপাশি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অফিসিয়ালি মাঠে রয়েছেন তিন ছেলে আবু সাঈদ আখতারুজ্জামান, আবু সাজ্জাদ মোস্তফা কামাল ও আবু হেনা মোস্তফা জামান। এছাড়া রয়েছেন ভগ্নিপতি আব্দুল কাইয়ুম আযাদ ও খালাতো ভাই মুক্তাদির রায়হান।

লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ফজলার রহমান, আনারস প্রতীক নিয়ে ছেলে আবু হেনা মোস্তফা জামান, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আবু সাঈদ আখতারুজ্জামান ও দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে আবু সাজ্জাদ মোস্তফা কামাল নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

ফজলার রহমানের তৃতীয় ছেলে আবু সাঈদ আখতারুজ্জামান বলেন, এটা নির্বাচনী কৌশল আমাদের। এর আগে নির্বাচনে আমাদের ভোট আরেকজনের বলে চালায় দেয়। রুমগুলোতে বেশি করে আমাদের এজেন্ট থাকলে আর সমস্যা হবে না। প্রার্থী হলেও আমরা সবাই বাবার জন্য কাজ করছি। ভোটও বাবার প্রতীকে যাবে।

ফজলার রহমানের বড় ছেলে আবু হেনা মোস্তফা জামান বলেন, আমরা জনপ্রিয়তা যাচাই করছি। যার পজিশন ভালো তার পক্ষে যাব।

তিনি বলেন, যদি দেখি, বাবার অবস্থান ভালো, তাহলে তাকে সমর্থন দেব।

প্রতিদ্বন্দ্বী মঞ্জুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, এটা কেন্দ্র দখলের কৌশল ফজলার রহমানের। প্রচার প্রচারণা এমনকি মাঠে নেই ফজলার রহমান ছাড়া অন্য কেউ। মূলত ভোটের দিন প্রতিটি বুথে তাদের সাতজন করে এজেন্ট রেখে কেন্দ্র দখলে রাখার প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে বলাও হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমীন শাহ জানান, ১৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ১১ নভেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিনে রোকনুজ্জামান নামে এক প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচনী মাঠে এখন ১৪ জন রয়েছেন। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৩৩০।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে কেউ শর্তপূরণ করে প্রার্থী হতে পারে। যেহেতু একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি, তাই এ নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে, ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফজলার রহমান ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাঁচবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি ১৯৭৪ সালে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com