গাজীপুর সংবাদদাতা : করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মানুষের জন্য করোনা টিকার ব্যবস্থা করেছেন। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমারা শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেছেন প্রয়োজনে আমাদের যত লাগে তত টিকা দিবেন। টিকা গ্রহণে কোন অর্থ লাগবেনা। সকল খরচ সিটি করপোরেশন বহন করবে। কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা না করে। আমি সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই।
শনিবার নগরের ৩৮নং ওয়ার্ডে বাদশামিয়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে নগরের ৫৭টি ওয়ার্ডে ১৭১টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়ার এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ সময় নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডের টিকাদান কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা রেজিস্ট্রেশন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে নারী-পুরুষ সারিবদ্ধ হয়ে করোনার টিকা গ্রহন করেন। টিকাদান কর্মসূচিতে বয়স্কদের বেশি প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫৭টি ওয়ার্ডে আমরা টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি। যদি কোনো বয়স্ক নাগরিক থাকে তাদেরকে এনে কাউন্সিলর অফিসের মাধ্যমে টিকাদানের ব্যবস্থা শুরু করেছি। প্রথম পর্যায়ে অন্যন্য জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি এক দিন দিয়েছে। আর আমাদের সিটি করপোরেশন টিকাদান কর্মসূচি তিন দিন পেয়েছি। এই তিন দিনের টিকাদান কর্মসূচির জন্য ১ লাখের বেশি ভ্যাকসিন আমাদের এখানে আসছে। আমাদের এখানে প্রায় ৪০০ জনের মতো ভলানটিয়ার আছে। যারা সুই টি পুঁশ করতে পারবে। তাদেরকে আমরা রেডি রেখেছি। যত দিবে তত দ্রুত আমরা নাগরিকদের দিয়ে দেব। কোন নাগরিকই এখানে করোনা টিকার বাইরে থাকবে না। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা করব।
মেয়র বলেন, একযোগে ৫৭টি ওয়ার্ডে এক থেকে তিনটি বুথের মাধ্যমে সকল কাউন্সিল ওয়ার্ড সচিব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি আওয়ামী লীগসহ অন্যান্যদের সহযোগীতায় আমরা করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মনিরুজ্জামান মনির, সিটির করপোরেশনের ডাক্তার, সিটির স্বাস্থ্য প্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
এ জাতীয় আরো খবর..