শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতেছিল কিউইরা। টস জিতে সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাট করার। দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও রাচীন রবীন্দ্র অনেকটা স্পোর্টিং উইকেট পেয়ে ব্যাটে রান তোলার চেষ্টা করেন দ্রুত। দুজনের ৫৮ রানের জুটি ভাঙে ৫.৪ ওভারের মাথায় রবীন্দ্রর ১৭ (১২) রানে বিদায়। সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে শরিফুল ইসলাম এই ওভারে তুলে নেন আরেক ওপেনার অ্যালেনকেও (৪১)।

টম ল্যাথাম আজও খেললেন দলের সর্বোচ্চ ৫০ (৩৭) রানের অপরাজিত ইনিংস।

এ ছাড়া শেষ দিকে হ্যানরি নিকলসের ২০ (২১), কোল ম্যাককনিকের ১৭ (১০) রানে ৫ উইকেটে সিরিজের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ১৬১ রান তোলে কিউইরা।

বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান। তাসকিন আহমেদ ৩৪ রানে নেন ১ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও আফিফ নেন ১টি করে উইকেট।

এদিকে ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের কন্ডিশনও যেন অচেনা হয়ে যায় টাইগার ব্যাটারদের কাছে। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। শুরতে লিটন দাস ১০ (১২) রানে ফেরেন আজাজ প্যাটেলের বলে কুগলেইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। সৌম্য সরকার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। ৯ বলে ৪ রান করে ক্যাচ দেন রবীন্দ্রর হাতে কোল ম্যাককনিকের বলে।মুশফিকুর রহিম ৩ রান করে ফেরেন রবীন্দ্রর বলে ক্যাচ দিয়ে।

দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। ৬৩ রানের জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ’র ২৩ (২১) রানে বিদায়ে।

এরপর নুরুল হাসান ৪, শামিম হোসেন ২, তাসকিন আহমেদ ২ রানে ফিরলেও আফিফের একার লড়াই দলকে পৌঁছাতে পারেনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। আফিফ অপরাজিত থেকেছেন ৪৯ (৩৩) রানে। কুড়ি ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানে।

কিউইদের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আজাজ প্যাটেল ও স্কট কুগলেইন। ১ উইকেট করে নেন জ্যাকব ডাফি, কোল ম্যাককনিক, বেন সেয়ার্স ও রাচীন রবীন্দ্র।