শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা ইসরাইলের হামলায় ইরানে বিমান চলাচল বন্ধ, ইরাকে ব্যাপক বিস্ফোরণ এবার ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাওয়ায় রাসিক মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বৃষ্টির জন্য হাহাকার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানির পরিবর্তে ওঠা তরলে জ্বলছে আগুণ, গন্ধ ডিজেলের মতো শিবগঞ্জে ১৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ডিপজলের সঙ্গে পারলেন না নিপু

মহাখালীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ছয় টুকরো করেন ফাতেমা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
  • ৩০৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ : মহাখালী থেকে উদ্ধার হওয়া ময়না মিয়ার ছয় টুকরো মরদেহটির রহস্য উদঘাটন করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত ময়না মিয়ার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ময়না মিয়া হত্যাকাণ্ডের ধরণ, মোটিভ এবং অপরাধী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সোমবার দুপুর ১২টায় গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি টিম বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ময়না মিয়ার খণ্ডিত লাশের রহস্য উন্মোচনসহ এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা খাতুন ভিকটিমের প্রথম স্ত্রী।

তিনি জানান, পানির ড্রামে কেটে ফেলা দুই পা এবং দুই হাতকে একটি বড় কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে নিহত ময়না মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। এলাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় রিকশা ভাড়া করে প্রথমে মাথা ও হাত-পা খণ্ডিত শরীরের মূল অংশ ফেলে দেয় আমতলী এলাকায়। এরপর মহাখালী বাস-টার্মিনাল এলাকায় এনা বাস কাউন্টারের সামনে খণ্ডিত দুই হাত-পা ভর্তি ব্যাগ রেখে দিয়ে চলে আসে বাসায়। বাসায় এসে সেখান থেকে খণ্ডিত মাথার ব্যাগটি নিয়ে বনানী ১১নম্বর ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে গুলশান লেকে ফেলে দেয় এবং এরপর বাসায় এসে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ইউনিটের সঙ্গে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ভিকটিমের পরিচিতি শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা চালায়। আর ডিবির গুলশান বিভাগের একটি টিম নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হয়।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ফাতেমা জানান গত ২৩ মে থেকে তার স্বামী ময়না মিয়া কড়াইল এলাকায় তার বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। পারিবারিক কলহ, টাকা-পয়সা বণ্টন ও একাধিক বিয়েকে কেন্দ্র করে ময়না মিয়ার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে ফাতেমা পরিকল্পনা করে তার স্বামীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে নিস্তেজ করেন এবং পরবর্তীতে টুকরো টুকরো করে মরদেহ ফেলে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com