ফয়সাল আজম অপু :আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলষ্টেশন থেকে বিশেষ করে আমবাহী পার্শ্বেল ট্রেন- “ম্যাংগো স্পেশাল” চালুর উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। ১৭ মে সোমবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলষ্টেশনে এ উপলক্ষে আম ব্যবসায়ী, জেলার সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেন রেল কর্মকর্তারা। মতবিনিময়ে ট্রেনটির বৈশিষ্ট্য, সূযোগ-সুবিধেসহ সকল বিষয় উঠে আসে। মতবিনিময়ে অংশ নেন বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা, পাকশী মো.নাসিরুল, ডেপুটি চীফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুন্ডু, সহকারী বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ঈশ্বরদী একেএম নূরুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলষ্টেশন মাষ্টার মনিরুল ইসলাম, সহকারী ষ্টেশন মাস্টার ওবাইদুলাহসহ অন্যান্যরা। রেল কর্মকর্তারা বলেন, তারা রাজশাহী সহ বিভিন্ন স্টেশনে টেনটি চালুর ব্যাপারে মতবিনিময় করেছেন। তারা জানতে পেরেছেন, আগামী ২৫মে রাজশাহীর মেয়র আনুষ্ঠানিক ভাবে সেখানে আমপাড়া ও বাজারজাত করণের উদ্বোধন করবেন। ব্যবসায়ীদের দাবী রয়েছে সে দিন থেকে পার্শ্বেল ট্রেনটি চালুর। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ করোনাকালে বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে আম, লিচু, দেশীয় ফলমুল, শাকসব্জি, ডিম সহ রেলওয়ে আইনে পার্শ্বেল হিসেবে গণ্য সকল পন্য পরিবহনের জন্য ট্রেনটি চালুর পরিকল্পনা করছিল। ফলে চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাবণা রয়েছে ২৫ মে থেকেই ট্রেনটি চালুর। এছাড়াও সম্ভাবনা রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলষ্টেশন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী হয়ে ট্রেনটির বিভিন্ন ষ্টেশনে মালামাল পরিবহন করে ঢাকা যাবার। কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম, সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহ, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন গন্তব্যে পার্শ্বেল ট্রেন চালু রয়েছে। ফলে এই ট্রেনের মালামাল ওই সকল গন্তব্যের ট্রেনে ট্রান্সশিপমেন্ট করে দেশের বিভিন্ন ষ্টেশনে নেয়া যাবে। গত বারের মত ২৫ শতাংশ ছাড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত মাল এই ট্রেনে পরিবহন করা যাবে। খরচ হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ষ্টেশন থেকে কেজি প্রতি ১টাকা ৩১ পয়সা ও রাজশাহী থেকে ১টাকা ১৭ পয়সা। পরের স্টেশনগুলির ভাড়া দূরত্ব ভেদে কমবে। ৫টি মালবাহী ওয়াগনের ১৫০টন ধারণ ক্ষমতার ট্রেনটির পরিসর প্রয়োজনে বড় করা যাবে। সভায় কুলি খরচ, মালের নিরাপত্তা, চলাচলের সময়সীমা, মালের গুনগত মান অক্ষুন্ন থাকা, অভিযোগ করার সূযোগ সব মিলিয়ে ট্রেনে মাল পরিবহন ট্রাক বা যে কোন কুরিয়ার সার্ভিসের থেকে ভাল হবে বলে আশস্ত করেন কর্মকর্তারা। তারা গত বছরের ম্যাংগো ট্রেন পরিচালনার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, সরকার ভতূর্কি দিয়ে আপদকালীন ট্রেনটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে। এটি তাদের জন্য বিশেষ সূযোগ ও সেবা। ঠিকভাবে টেনটি পরিচালনার জন্য সংশ্লিস্ট সকলকে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান রেল কর্মকর্তারা। আম ব্যবসায়ীরা ট্রেনটি চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দাবী জানান, ট্রেনের ভাড়া আরও কম করার। যাতে কুলি ও বাগান থেকে ষ্টেশন এবং ষ্টেশন থেকে ঢাকার বিভিন্ন মোকাম পর্যন্ত সকল খরচ মিলিয়ে ট্রাক বা পিকআপের সাথে খরচে যেন পড়তা করা যায়। এ ছাড়া তারা মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি যেন চালু থাকে তারও দাবী জানান। তারা খুলনাসহ দেশের অনান্য গন্তব্যে এমন আরও ট্রেন চালুরও দাবী জানান।