অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করায় দুই বাংলাদেশী গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
রবিবার তাদের নদিয়ার কল্যাণী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে বেশ কিছু দিন ধরে কল্যাণীর মুরাতিপুরের এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন দু’জন। অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ সোহাগ মীর এবং প্রণয় জয়ধর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল মুরাতিপুর এলাকার বাড়িটিতে যায়। সেখান থেকে দু’জনকে পাকড়াও করা হয়। গ্রেফতার কারও কাছে বৈধ কোনও কাগজপত্র নেই বলে জানা গেছে। তাঁরা কী ভাবে ভারতে ঢুকলেন, অবৈধ ভাবে প্রবেশের জন্য কারও সাহায্য পেয়েছিলেন কি না, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই জানা গেছে গ্রেফতারকৃদের মধ্যে সোহাগ নামে যুবকটি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে আগেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানা এলাকায় গ্রেফতার হওয়ার পরে ছাড়াও পান। কিন্তু বাংলাদেশে না ফিরে তিনি কাশ্মীরে গিয়ে গা ঢাকা গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্য যুবকটি।
শনিবার রাতে কল্যাণী থানার পুলিশ মুরাতিপুর এলাকায় হানা দিয়েছিল। মুরাতিপুরের অনুকূল মোড় এলাকায় জনৈক সুধীর শীলের বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন দুই বাংলাদেশি। ওই বাড়িতে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ। কিন্তু সে সব কিছুই দেখাতে পারেননি তাঁরা। ঘটনাক্রমে পুলিশ জানতে পারে, ১৮ বছর বয়সি প্রণয়ের বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। ২৩ বছরের সোহাগ আদতে বাংলাদেশের মাদারিপুরের বাসিন্দা। কেন তাঁরা বাংলায় ঢোকেন, তার পর কেনই বা কাশ্মীর গিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। রবিবার তাদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। অন্য দিকে, ভাড়া দেওয়ার সময় বাড়িমালিক কেন যুবকদের পরিচয়পত্র যাচাই করেননি, সেই বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
