বিডি ঢাকা ডেস্ক
শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শাকসবজির অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে জানান, শীঘ্রই নিত্যপণের দাম কমে আসবে। এলক্ষে চাল, তেল, চিনি, আলু, ডিম ও পেঁয়াজের মতো পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে কাওরান বাজারের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী ম. জসিম উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিরাতে শীতকালীন সবজির সরবরাগ বাড়ছে কাওরান বাজারে। এ কারণে এখন দাম কমছে। আশা করছি, সরবরাহ অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে অর্ধেকে নেমে আসবে।বাজারে এবার সুখবর মিলছে। শীতের আগমনী বার্তায় বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে নেমেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল।
বাজারে ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২৫০ টাকার ওপরে।
সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। কিছুদিনের মধ্যে সবজির দাম আরও কমে আসবে। বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দুই সপ্তাহ আগেও ডিমের বাজার ছিল অস্থির। প্রতি ডজন ডিম ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর এ ভোগ্যপণ্যটির দাম কমে ১৫০-১৫৫ টাকায় নেমেছে। তবে এ দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।