বিডি ঢাকা ডেস্ক
টানা কয়েক দিন ধরেই পিরোজপুরে বেড়েছে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা। জেলায় দিনের বেশির ভাগ সময় পথ-ঘাট-মাঠ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে শহরের বিলাসের মোড় এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, একদল লোক কনকনে শীতে দাঁড়িয়ে কাঁপছেন। তারা মূলত খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন শহরের বিলাসের মোড়ে আসেন নিজেদের শ্রম বিক্রি করার জন্য।
কাজের খোঁজে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ৬৪ বছর বয়সের আইয়ুব আলী।
তিনি বলেন, আমাগো আবার কিসের শীত। যত শীতই নামুক কাজ তো করতেই হবে। পেটের ক্ষুধা মেটাতে হবে। একদিন কাজ না করলে খাবার বন্ধ থাকবে। তাই যতই শীত পড়ুক ভোরেই এখানে এসে দাড়াইছি কাজ পাওয়ার জন্য। এখনো কাজ পাইনি, শীতের কারণে মানুষের বাইরে বের হয় না কেউ কাজও করায় না।
আব্দুর রহিম নামে আরেকজন শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন এখানে কাজের জন্য আসি। কাজ পেলে দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কামাই হয়। প্রতিদিন তো আর কাজ পাওয়া যায় না। এখন তো অনেক শীত তাই এখনো কাজই পাই নাই। শীতের মধ্যে কেউ কাজ করায় না তারপরও দাড়িয়ে আছি যদি কেউ এসে কাজে নেয়।
পৌর শহরের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ইলিয়াস শেখ বলেন, আজ অতিরিক্ত শীত এই শীতেও রিকশা নিয়ে নামতে হচ্ছে। খুব শীত লাগছে। এরমধ্যে যাত্রীও অনেক কম। শীতে কেউ বের হয় না। ভাড়ায় রিকশা চালাই শীতকে ভয় পেয়ে রিকশা না চালালে ভাড়ার টাকা দেওয়া যাবে না তারপর আবার নিজের সংসারও চলবে না। তাই পেটের দায়ে কাঁপতে কাঁপতে রিকশা চালাচ্ছি।
ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রির জন্য সবজি নিয়ে বের হয়েছেন জয়নাল সিকদার। তিনি বলেন, জ্যাকেট, টুপি, মাফলার পরেও শীত মানছে না। মনে হচ্ছে হাড় পর্যন্ত কাঁপছে। তারপরেও ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি কি আর করবো এসব করেই খাই। একদিন না বের হলে খাবার বন্ধ।
এদিকে ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে গাড়িগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
এছাড়া সকাল থেকে শহরসহ জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল রয়েছে সীমিত। স্থানীয়ভাবে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা চলাচলও রয়েছে সামান্য।