নিজস্ব সংবাদদাতা : সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো মতামতের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে তার কাছে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার ছোটভাই শামীম এস্কান্দার। বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে (খালেদা জিয়াকে) যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয়বার আবার সাজা মওকুপ করে এ ধরনের সুবিধা দেওয়ার (বিদেশ যাওয়ার) সুযোগ নাই।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী, আমরা আবেদনটি মঞ্জুর করতে পারছি না। তাদেরকে আমরা এটাই জানিয়ে দেব।’
মানবিক দিক বিবেচনা করে বিদেশ যেতে দেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মানবিকতা দেখিয়েই তো সেই সুযোগ আইন অনুযায়ী দেওয়া যায় কিনা সেজন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মানবিকতা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাজা স্থগিত করে উনাকে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে-সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সরকারি অনুমতি পেলে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনো তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিলে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।