বিডি ঢাকা ডেস্ক
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে কিছুটা দুর্ভোগ লাগব হবে নগরবাসীর।
মূলত, খালের অংশে ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও বর্জ্য অপসারণ করা।
বিশেষ অগ্রাধিকারে রাজাখালী খাল, চাক্তাই খালসহ কর্ণফুলী নদীর সাথে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন খাল ও নালার মুখে ভেসে আসা প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। তা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে খালসমূহের পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ এবং অর্থায়নে কর্ণফুলি নদীর মূল চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি আওতাধীন খালসমূহের বর্জ্য অপসারণ করে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এজন্য চবকের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে একটি প্রকল্প অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র সচিব ওমর ফারুক দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, বর্তমানে চালু থাকা প্রকল্পটি শেষ হবার পরেও নগরবাসীর জীবনযাত্রা স্বস্তিময় করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরণের কার্যক্রম নিয়মিত চালু থাকবে বলে আশা করা যায়। তবে, এক্ষেত্রে মূল সমস্যা সম্পূর্ণ খালের ভিতর নিহিত, যা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বহির্ভূত। নগরবাসীর ফেলা বিভিন্ন প্রকারের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খালসমূহকে নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত এসকল কার্যক্রমের সম্পূর্ণ সুফল নগরবাসী পাবে না। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হতে প্রেরিত ২টি কাটার সাকশান ড্রেজারের পাশাপাশি চবকের নিজস্ব ফ্লিটের একটি এম্পিবিয়াস ড্রেজার এবং একটি বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ বে ক্লিনার-১ কে প্রকল্প এলাকায় মোতায়েন করে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের আন্তরিক চেষ্টা করছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই খালের মুখে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। আগামী জুন ২০২৫ এ প্রকল্পটি শেষ হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অনুষ্ঠিত হওয়া মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় নদী নালা খাল ও ড্রেনে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ করে সহযোগিতা আশা করেন।