বিডি ঢাকা ডেস্ক
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শীতে কাঁপছে ঢাকাসহ সারাদেশ। কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায়। কুয়াশা, মেঘলা আকাশ আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের দাপট বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এতে জনজীবনে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। তবে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কুয়াশা ভেদ করে ঢাকার আকাশে দেখা মিলেছে ঝলমলে সূর্যের। এতে জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যকে হাসতে দেখা গেছে ঢাকার আকাশে। গত দুই দিন ধরে ঢাকায় দেখা যায়নি সূর্যের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকে শীত অনুভূত হচ্ছে ঢাকায়। গত দুই দিন যে ঠান্ডা বাতাস ছিল আজ তা নেই। কুয়াশার দাপটও ছিল তুলনামূলক গত দুই দিনের তুলনায় অনেক কম। অবশেষে সকাল ১০টার দিকে কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দেয় সূর্য। তাতে জনমনে স্বস্তি নেমে আসে। অনেককে বাসার ব্যালকনি ও সড়কে রোদ পোহাতে দেখা গেছে।
এদিকে আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটি আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রোববারও (৫ জানুয়ারি) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে এর পরদিন সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ কদিন ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও বলছে, এই কয়েকদিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
তবে আগামী মঙ্গলবারের (৭ জানুয়ারি) দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ের শেষের দিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।