বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
আরো কথা বলেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেছের আলী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আব্দুল্লাহ আস শামস দিলক, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আব্দুস সালাম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে সভায় জানানো হয়, শুধু ধূমপানের কারণে সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। পুরুষ ও মহিলা ধূমপায়ী গড়ে তাদের জীবনের যথাক্রমে ১৩.২ ও ১৪.৫ বছর আয়ু কমিয়ে ফেলেন। একটি সিগারেট গড়ে প্রায় এগারো মিনিট আয়ু কমিয়ে দেয়। সারাজীবন ধরে ধূমপানকারীর মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকজন ধূমপানের ক্ষতির কারণে মারা যায়। অধূমপায়ীর তুলনায় একজন ধূমপায়ীর ৬০ বা ৭০ বছর বয়সের আগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় তিনগুণ।
তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্টঅ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিসসহ ও ক্যান্সার বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। তামাক উচ্চ রক্তচাপ ও প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রভাব নির্ভর করে একজন ব্যক্তি দৈনিক কতটি ও কয় বছর ধরে ধূমপান করে তার ওপর। অল্পবয়স থেকে এবং অধিক তামাকের ঘনত্বসম্পন্ন সিগারেট খাওয়ার ফলে ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে। ধূমপানের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হৃৎপি- ও ফুসফুস।
প্রেজেন্টেশনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের বার্ষিক অর্থনৈতিক ব্যয় ২০০৪ সালের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ। তামাকের কারণে যেসকল ব্যয় হয়ে থাকে, তার ৮৩ শতাংশের কারণ হলো উৎপাদনশীলতা হ্রাস। আর বাকি অংশ ব্যয় হয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে।