বিডি ঢাকা ডেস্ক
দাউদকান্দির গৌরীপুর-হোমনা-তিতাস আঞ্চলিক সড়ক এক বছর আগে সংস্কার করা হলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কটি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সড়কের তিতাস উপজেলা অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি কুমিল্লার তিতাস, মেঘনা, হোমনা, মুরাদনগর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করেন। দাউদকান্দির গৌরীপুর সড়ক ও জনপথের আঞ্চলিক অফিসের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর সড়কের ১৪.৪০ কিলোমিটার অংশের সংস্কারের জন্য ১২ কোটি ১২ লাখ টাকার টেন্ডার দেওয়া হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। তবে শুরু থেকেই স্থানীয়রা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করেন। অভিযোগের কারণে কিছুদিন কাজ বন্ধও ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি সেতুর উত্তর প্রান্ত থেকে শিবপুর এবং গাজীপুর থেকে বাতাকান্দি পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে সড়কের পিচ উঠে গিয়ে প্রচুর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় চালকরা জানিয়েছেন, বড় গর্তের কারণে যানবাহনের গতি কমে যায়, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। রাতে গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। গতি কমানোর সময় ডাকাতির আশঙ্কাও থাকে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “লক্করঝক্কর সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতিদিন মেরামতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করলে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।”
পিকআপ চালক আবুল হোসেন বলেন, “এই সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গর্তের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”
এ প্রসঙ্গে দাউদকান্দির গৌরীপুর সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামতের কাজ পর্যায়ক্রমে করা হবে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, “খুব শিগগিরই গৌরীপুর-হোমনা আঞ্চলিক মহাসড়কের খানাখন্দগুলো মেরামত করা হবে।”
স্থানীয়দের মতে, সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন না হলে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।