কক্সবাজার সংবাদদাতা : কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখা ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতেই তাকে কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম।
এদিকে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইকবালকে কক্সবাজারের কলাতলি সমুদ্র সৈকত থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পাঠানো হচ্ছে।
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ১৬ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মসজিদ থেকে কীভাবে পবিত্র কুরআন শরিফ নিয়ে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করেন এবং মণ্ডপ থেকে গদা হাতে নিয়ে ফেরেন।
গণমাধ্যমে আসা নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১২ অক্টোবর রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে মসজিদে প্রবেশ করেন মাজারের খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন। এরপর রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে মসজিদে প্রবেশ করেন ইকবাল। এসময় খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন ইকবালের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। ঠিক রাত ১১টায় তারা তিনজনই সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
ওইদিন রাত ২টা ১২ মিনিটের দিকে পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করে কুরআন নিতে দেখা যায় ইকবালকে। এসময় পাশেই অজ্ঞাতপরিচয় একজন ঘুমিয়ে ছিলেন, আরেকজন ছিলেন নামাজরত অবস্থায়। এর দুই মিনিট পর মেঝেতে কুরআন রেখে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। এরপর রাত ২টা ১৮ মিনিটে মসজিদে আবারও প্রবেশ করে মেঝেতে রাখা কুরআন নিয়ে মসজিদ থেকে বের হতে দেখা যায় তাকে। এরপর মসজিদ থেকে বের হয়ে তাকে মূল সড়কে উঠে মন্দিরের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
পরে তিনি চকবাজার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক মোড় ঘুরে পূজামণ্ডপের দিকে রওনা হন। এ সময় তার সঙ্গে দু’জন নৈশপ্রহরীর দেখা হয়। তাদের সঙ্গে ইকবালের কথাও হয়। এরপর ইকবাল কুরআন হাতে নিয়ে ডিগাম্বরীতলা সড়ক দিয়ে নানুয়া দিঘির পূজামণ্ডপে প্রবেশ করেন। পরে মূল পূজামণ্ডপের বাইরে সড়কের পাশে থাকা ফুটপাতের ওপর সীতার তিনটি প্রতিমার পাশে থাকা হনুমানের প্রতিমার পায়ের ওপর কুরআন রাখেন। এরপর হনুমানের হাতে থাকা গদা কাঁধে নিয়ে চলে যান।