অনলাইন নিউজ : হঠাৎ করেই জেকে বসেছে শীত। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমে বইতে শুরু করেছে চতুর্থ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা এক দিনের ব্যবধানে আজ ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে নামার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবাহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ থেকে ৬ দিন জেঁকে বসবে এবারের শৈত্যপ্রবাহ। চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়বে না, অর্থাৎ দিনের বেলাতেও থাকবে শীতের আমেজ। বেশির ভাগ জেলায় তাপমাত্রা নামবে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা নামতে পারে ১১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শীতের দাপট ক্রমশ কমতে থাকবে।
এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষার্ধে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও ছিল এক দফা শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুরু হচ্ছে চতুর্থ দফার শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার বিকালে ঢাকায় তুমুল বৃষ্টি হয়েছে, এই বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৪ মিলিমিটার। একই সঙ্গে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা ও বরিশালেও বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সিলেটে সর্বোচ্চ ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রাজশাহী বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এদিকে গতকাল সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আপাতত বৃষ্টি বিদায় নিতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার তথ্যে জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা (২-৪) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।