ফয়সাল আজম অপু : চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান সৈয়দ নুরুল ইসলাম। পদোন্নতি হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পেলেন। এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আলো বাতাসে বেড়ে উঠা একজন মানুষ। তিনি চাকুরী জীবনে বেশ সফলতা অর্জন করে দেশ সেবায় গৌরব অর্জন করেন। চাকুরী জীবনে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনসেবায় অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। কুমিল্লা জেলার সফল পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম বদলি/পদায়ন হয়েছেন। তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার হয়ে দায়িত্ব পেলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ৯ ডিসেম্বর বুধবার ৮ জন অফিসারকে বিভিন্নস্থানে বদলি/পদায়নের পরিপত্র জারি করে। যার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান মানবিক সমাজ সেবকের ছাউনি সৈয়দ নুরুল ইসলামেরও নাম রয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব ধঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত পত্র থেকে এ সব তথ্য জানা যায়। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ কৃতি সন্তান নুরুল ইসলাম করোনার বিস্তার রোধে ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্ভীকভাবে কুমিল্লা জেলার ৬০ লাখ মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করেছেন। এছাড়াও পারিবারিকভাবে সৈয়দ নুরুল ইসলাম মানব সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার মানুষের ভালবাসার আঁচড় কেটেছেন। কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিকালে সৈয়দ পরিবারের পারিবারিকভাবে গড়ে তোলা “ জিকে ফাউন্ডেশন” সকল স্তরের মানুষের পাশে থেকেছে সার্বক্ষনিক। জিকে ফাউন্ডেন নামক ছাউনী থেকে অহসায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন চাল, ডাল, আলু, চিনি, কাপড়সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। অসহায়দের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে কুন্ঠাবোধ না করে এসব মানুষের পাশে থেকেছেন সবসময় সৈয়দ পরিবারের লোকজন। এখানেও সৈয়দ নুরুল ইসলামের অবদান যথেষ্ট রয়েছে। সৈয়দ নুরুল ইসলাম একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি শুধু একজন পুলিশ অফিসার নন তিনি অসহায়, গরীব, দুঃখি, মেহনতি মানুষের একজন কান্ডারীও বটে।