বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক: শিমুলিয়া ঘাটে চাপ এবং বিড়ম্বনা এড়াতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের বিকল্প হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন এসে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে যাত্রী পারাপারের জন্য অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথকে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ফেরিঘাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ২৫টি ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আমরা কিছুদিন আগে যাত্রীদের বলেছিলাম আপনারা পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহার করেন। তাহলে আপনাদের ভোগান্তি কম হবে। অনেক সংবাদমাধ্যমেও দেখেছি আজকে পাটুরিয়া ঘাট অনেকটাই ফাঁকা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্দেশনা না শুনে অনেকেই শিমুলিয়া ঘাটে এসেছেন। এর ফলে সাহরির পর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। আমাদের বিআইডব্লিউটিএ, টিসি, পুলিশ সদস্যরা চাপ নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আজ থেকে গার্মেন্টস বন্ধ হচ্ছে। বিকেলের পর থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে চাপ আরও বাড়বে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আমরা তাদের অনুরোধ করছি, তারা যেন বিকল্প নৌপথ হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করেন।
এ নৌপথে ১০টি ফেরি চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার সার্থে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, সেতু ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারদের সাথে কথা বলে সবচাইতে ভালো ফেরিগুলো শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা এ নৌপথে এখন ফেরি চলছে। এ ফেরিগুলো এই নৌপথের জন্য যথেষ্ঠ হবে।
ঘাটে এসে ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোনো ভিআইপিকে আগে সিরিয়াল দেয়া হবে না। আমাদের একজন সাবেক মন্ত্রীও পদ্মা পাড়ি দিতে এ ঘাটে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। সিরিয়াল মেনেই তিনি পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সামিম আল রাজী, অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন প্রমুখ।