শেরপুর সংবাদদাতা : শেরপুরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ছোট বোন। এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, গত দুই দিন আগে শেরপুর পৌর এলাকায় গাজিপুর থেকে ১৮ বছর বয়সী ছোট বোন বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে ছোট বোন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে চর্ম রোগের চিকিৎসার জন্য জনৈক হাবিবুল্লাহ সাধু নামে এক কবিরাজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।কবিরাজের বাড়ি কাছাকাছি একটি লেবু বাগানের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ধ্যা হয়ে গেলে পার্শ্ববর্তী লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে সবজি বিক্রেতা হাফিজুর রহমান মন্টু এবং একই ইউনিয়নের হাতি আগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া তাদেরকে গতি রোধ করে বড় বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জোরপূর্বক ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় বড় বোন ডাকচিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করে এবং লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে লেবু বাগান ও আশপাশে ছোট বোন ও অপহরণকারীকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায় ওই লেবু বাগানের এক কোণে ঝোপের কাছে ছোট বোনকে উদ্ধার করে। তখন সে জানায় ওই দু’জন তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে ওই রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিয়ে নয়া পাড়া গ্রাম থেকে হাফিজুর রহমান মন্টু নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। অন্যজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সদর থানা-পুলিশ জানিয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপরজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।