সিলেট সংবাদদাতা : উজানে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের দেশের দুই নদীর ৫ পয়েন্টের পানি আজও বিপদসীমার ওপরে আছে। তবে কিছু এলাকার পানি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মা-গঙ্গা নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের কয়েকটি স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে সুরমা, কুশিয়ারা, তোগাই-কংস, ধনু- বাউলহি, মনু, খোয়াই নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
কেন্দ্র জানায়, কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ১৫৮ থেকে বেড়ে এখন ১৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই নদীর শেওলা পয়েন্টের পানি ৫৩ থেকে বেড়ে ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি ১২৭ থেকে কমে ১১৫ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টের পানি ৪১ থেকে বেড়ে ৪৭ এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টের পানি ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, গতকাল বৃষ্টি কম হলেও আজ তা আবার বেড়েছে। গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছিল সিলেটে লালাখালে ৬৬ মিলিমিটার। আজও একই এলাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে, সঙ্গে নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও। তবে আজ ১২৫ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আজ সিলেটের জকিগঞ্জে ৭০, লাটুতে ৬০, শেরপুরে ৫৫ এবং মনু রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া হবিগঞ্জের ইটাখোলায় ৮২, শেরপুরের নাকুয়াগাঁও এ ৫৮, সুনামগঞ্জে ৫৬, সুনামগঞ্জের মহেশখোলাতে ৭২, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৬০ এবং শ্রীমঙ্গলে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতেও আজ বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। গতকাল ছিল ২১৫ মিলিমিটার, আজ তা ২০৪ মিলিমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আসামের তেজপুরে ৫৯, শিলচরে ৬০, ধুব্রি ১০৪, ত্রিপুরার কৈলাশহরে ৮৩ এবং অরুণাচলের পাসিঘাটে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..