তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি :রাজশাহীর তনোরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানেও কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে কেশর হাটের মাছ ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম রাঁতে পুকুর খনন করছে। উপজেলা প্রশাসন কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর বন্ধে দিনে ভ্রাম্যমান অভিযান করছে, আবার অভিযান শেষ হতে না হতেই রাঁতের আঁধারে একই পুকুর ফের খনন করা হচ্ছে। তাহলে কি প্রশাসনের থেকেও এরা ক্ষমতা ধর না নেপথ্যে অদৃশ্যে কিছু রয়েছে এমন প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, তানোরের কাঁমারগা ইউপির নেজামপুর মাঠে কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়। কিন্ত্ত এদিন রাঁতেই তারা ফের পুকুর খনন শুরু করেছে।এঘটনায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছে, অবৈধ এই পুকুর খনন করা হলে বর্ষা মৌসুমে আশপাশের কম পক্ষে ১০ গ্রামের মানুষ বন্যার শিকার হবে।সরেজমিন নেজামপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ কুমারের পুত্র কাজল কুমার জানান, পুকুরের মাঝে তার দুই বিঘা ফসলী জমি রয়েছে, মৃত দ্বিজেনের পুত্র জগদিসের ২২ কাঠা, গোকুল কুমারের ১২ কাঠা, সুজন কুমারের ২৫ কাঠা, প্রবিল্য কুমারের ৮ কাঠা,ব্রজেন দাসের ১০ কাঠা,হরেন কুমারের ৫ কাঠা, বিজনের আড়াই বিঘাসহ আরো অনেকের জমি রয়েছে পুকুরের মাঝে। কিন্ত্ত তাদের জমির টাকা না দিয়ে কৌশলে তাদের জমির চারিদিকে খনন করা হচ্ছে। সুজন কুমার বলেন, তারা বাধা দিতে গেলে উল্টো তাদের হাত-পা কেটে নেয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাহারা দিয়ে পুকুর কাটা হচ্ছে, এতে গ্রামবাসী বাধা দিতে পারছেন না। এবিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর মালিক কেশরহাট এলাকার প্রসিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবার সঙ্গে সমঝোতা করেই পুকুর খনন করা হচ্ছে তবে উপজেলা প্রশাসন পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ফের খনন শুরু করা হবে। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, নেজামপুর মাঠে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামিমুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমিতে পুকুর খননের কোনো সুযোগ নাই। তিনি অবৈধ এসব পুকুর খনন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।