আযানের জবাব নারী-পুরুষ সকলের জন্যই মোস্তাহাব। পাক-নাপাক যে অবস্থায় থাকুন না কেন এই মোস্তাহাব পালন করতে হবে। তবে এমন কিছু অবস্থা আছে, সে সময়েগুলোতে আযানের জবাব দেয়ার বিধান নেই। কয়েক স্থানের আযানের শব্দ শোনা গেলে সর্বপ্রথম যে আযান শোনা যায়, তার জবাব দিলেই যথেষ্ট। তবে সবটার জবাব দিতে পারলে ভালো। যদি কেউ আযানের জবাব না দিয়ে থাকেন এবং বেশিক্ষণ অতিবাহিত না হয়ে থাকে, যখন সচেতন হবেন তখন থেকেই জবাব দেওয়া শুরু করতে হবে।
আযানের সময় কথাবার্তা না বলাই উত্তম। চুপ থাকা মোস্তাহাব। আযান শুরু হওয়ার পর ইস্তেনজায় (পায়খানা-প্রস্রাব) লিপ্ত হবে না, এমন কি ইস্তেনজাখানায় প্রবেশ করাও ঠিক নয়। এবার জেনে নেওয়া যাক কোন অবস্থাগুলোতে আযানের জবাব দেওয়া যায় না:
১. নামায পড়া অবস্থায়। কোন কোন নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার অনেকক্ষণ পড় আযান দেওয়া হয়। কিন্তু কোন ব্যক্তির জরুরি প্রয়োজন থাকে তাহলে ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ে নিতে পারেন। এই নামাজ অবস্থায় যদি আযান শুরু হয়ে যায়, তখন আযানের জবাব দেওয়া যাবে না।
২. হায়েয অবস্থায়। ঋতুবতী মহিলাদের জন্য আযানের জবাব দেওয়ার হুকুম নেই।
৩. নেফাসের অবস্থায়। সন্তান প্রসবের পর স্ত্রীলোকের গর্ভ থেকে রক্তস্রাব হয়, এই সময়টায় আযানের জবাব দেয়া যায় না।
৪. দ্বীনি ইল্ম বা শরীয়তের মাসআলা-মাসায়েল শিখবার বা শিক্ষা দেওয়ার সময় আযানের জবাব দেয়া যায় না। তবে কুরআন তেলাওয়াতের সময় আযান হলে তেলাওয়াত বন্ধ করে তার জবাব দেয়া উত্তম।
৫. সহবাস অবস্থায়।
৬. পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায়। যদি কোন ব্যক্তি আযানের মুহূর্তে পেশাব বা পায়খানা করা অবস্থায় থাকেন, তখন আযানের জবাব দেয়া যাবে না।
আযানের জবাব দেয়ার পর দুরূদ শরীফ পড়া উত্তম। তারপর দোয়া পড়া মোস্তাহাব। দোয়াটি হলো- ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও অনুষ্ঠিতব্য নামাযের রব, তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান কর ওছিলা ও শ্রেষ্ঠত্ব এবং তাঁকে পৌঁছাও মাকামে মাহমুদে (প্রশংসনীয় স্থানে), যার ওয়াদা তুমি তাঁর সাথে করেছ, নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদা ভঙ্গ কর না।’
উপরোক্ত দোয়া পড়ার সময় হাত উঠানোর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। হাত উঠানো ছাড়াই শুধু মুখে মুখে দোয়াটি পাঠ করে নিলেই যথেষ্ট।