স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শোক জানান।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “রাবেয়া খাতুনের মৃত্যু দেশের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা সাহিত্যের প্রসারে তার অবদান চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” রাষ্ট্রপতি মরহুমা রাবেয়া খাতুনের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অপর এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাবেয়া খাতুন তার সাহিত্যকর্ম ও সৃজনশীলতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুতে দেশের সাহিত্য ও শিল্প সংস্কৃতি অঙ্গনে শোক নেমে এসেছে। গভীর শোকাহত চ্যানেল আই পরিবার।
ছিয়াশি বছরে মারা যাওয়া রাবেয়া খাতুন সাহিত্যের সকল শাখায় সফলভাবে বিচরণ করেছেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কারেও।
বাংলা সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রাবেয়া খাতুন। ১৯৩৫ সালে বিক্রমপুরে জন্ম তার। লেখালেখির পাশাপাশি শিক্ষকতা এবং সাংবাদিকতাও করেছেন।
উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ রাবেয়া খাতুনের। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টিও প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে।
তার স্বামী প্রয়াত এটিএম ফজলুল হক ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পত্রিকা সিনেমার সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক। বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’ এর পরিচালকও তিনি।
১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যেে রয়েছে, ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।
বাংলা একাডেমি, চলচ্চিত্র জুরী বোর্ড, লেডিস ক্লাব, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, মহিলা সমিতিসহ অসংখ্য সংগঠনের সাথে ছিলেন রাবেয়া খাতুন।