চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে করোনায় মৃত্যুর তথ্য নেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। কিন্তু এই একদিনে বিভাগে ২৭৫ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই দিন সর্বোচ্চ ১৫৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। সেখানেই একদিনে করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। একই দিনে রাজশাহীতে করোনা ধরা পড়েছে ৩৯ জনের।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরের দিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নাজমা আক্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৫৭ জনের। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭৫ জনের। নতুন করে ১৫৯ জনের করে করোনা ধরা পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
ডা. নাজমা আক্তার বলেন, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এই জেলায় ব্যাপকহারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চলছে। এই টেস্টে করোনা শনাক্তের সংখ্যা আজ (বুধবার) যোগ হয়েছে পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যার সঙ্গে। আর এই কারণেই এই জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এতো বেশি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভ পাওয়া সন্দেহভাজনদের আলাদা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও যাদের নেগেটিভ আসছে তাদের পিসিআর টেস্টে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতেও করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জনের। এছাড়া বগুড়ায় ২৬, পাবনায় ২০, জয়পুরহাটে ১০, নাটোরে ৯, সিরাজগঞ্জে ৮ এবং নওগাঁয় চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তালিকায় এই সাত জেলায় কেবল পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. নাজমা আক্তার।
তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়েছে। সেটি নিয়ন্ত্রণে চলছে বিশেষ লকডাউন। তার সত্ত্বেও লোকজন লুকিয়ে রাজশাহী হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে লোকজন রাজশাহীতে আসছে। আর এই কারণে রাজশাহীকে করোনা সংক্রমণ বাড়তি। তবে এখনেই রাজশাহীতে লকডাউনের পরিকল্পনা নেই।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩৩ জন। বিভাগে সবেচেয়ে বেশি করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে বগুড়ায় ৩০৯ জন।
এছাড়া রাজশাহীতে ৮১, নওগাঁয় ৩৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৮, সিরাজগঞ্জে ২৩, পাবনায় ২২, নাটোরে ২১ এবং জয়পুরহাটে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাজয় করেছেন ৩১ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৭ জন। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৮০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন।