নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে আরও ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় লঞ্চটি তীরে আনা হলে সেটির ভেতর থেকে একে একে ২১টি মরদেহ বের করে আনা হয়। এ নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে লঞ্চডুবির পর থেকে শীতলক্ষ্যার তীরে ভিড় করতে থাকেন স্বজনরাহারা মানুষ। তাদের চিৎকার আর অর্তনাদে ওই এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে এসেছে। শোকে মূহ্যমান এসব মানুষকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই সেখানে উপস্থিত লোকজনের।
লঞ্চডুবির ওই ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ বহন ও দাফন কাজের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। এরপর কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েও লঞ্চটি উদ্ধার করা না গেলেও সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করা হলে সেটির ভেতর থেকে একে একে আরও ২১টি মরদেহ বের করে আনা হয়।