নিউজ ডেস্ক : ‘লকডাউনের’ মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা। এই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
সংগঠনটি আশা করছে, দোকান খোলার বিষয়ে আজই তারা সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাবে। বুধবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখতে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। এর আগের ৩ এপ্রিল ‘লকডাউনে’ পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি করতে দিনে ৫ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানায় ব্যবসায়ীরা।
হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের লকডাউনের ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঋণ নিয়ে পহেলা বৈশাখ, রোজা ও ঈদ উপলক্ষে জুতা, কাপড় ও পোশাকসহ নানা পণ্য দিয়ে দোকানপাট সাজানো হয়েছে। এখন এগুলো বিক্রি করতে না পারলে মাঠে মারা যাবে ব্যবসায়ীরা।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, চিঠিতে সরকারের কাছে আমরা সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাইকারি মার্কেটগুলো খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি না হলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও সাধারণ মানুষ পণ্য পাবে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গতবারের মতো এবারও যদি মার্কেট বন্ধ থাকে তাহলে বিলাসী পণ্য বিশেষ করে ঈদের জামা কাপড়, কসমেটিকস ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাবেন। আপাতত এসব পণ্যের পাইকারি মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি চাই আমরা। কারণ এখনও এসব পণ্যের খুচরা বিক্রি শুরু হয়নি, পাইকারি পর্যায়ের বিক্রি চলছে। তাই আমরা দৈনিক মাত্র ৫ ঘণ্টা ব্যবসা করার জন্য সুযোগ চাই।
দোকান মালিকেরা বলছেন, দেশে বিশেষ করে রাজধানী ও রাজধানীর আশপাশে মাত্র কয়েকটি এলাকায় এসব বিলাসী পণ্যের পাইকারি মার্কেট রয়েছে। তাই সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দফায় দফায় ১০ জন করে ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে চাই আমরা। তবে গতকাল এই চিঠি দেয়ার পর আজ বুধবার থেকেই কেউ কেউ দোকান খোলার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তথ্য পাচ্ছে সমিতি।
এই প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সাবেক এই সিনিয়র সহ-সভাপতি একটি ভিডিও বার্তা দেন। এতে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে দোকান খোলার বিষয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি। আশাকরি আজকে সরকার একরি ভাল সিদ্ধান্ত নিবে। হয়তো একটা সুসংবাদ সবাই পাবেন।