শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দুপুরের খাবার এক টুকরা পাঙ্গাশ মাছ মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের দৈন্যদশা শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাদারীপুরে ডিম আমদানী বন্ধ ক্রেতারা বিপাকে, বেড়েছে সব ধরণের নিত্যপণ্যে রাজশাহীতে ইন্টার্ন ভাতা চালুসহ ৪ দফা দাবিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড় দিলো এনবিআর বাসে গ্যাস নিতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত তিন, আহত ২০ রেললাইনে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, হার্ড ব্রেকে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল কৃষিকাজ ছেড়ে মাছ চাষে ভাগ্য খুলেছে শরিফুল ও মিন্টু আলীর সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে মাদক কারবারি পরিবারগুলোকেও : জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ নাচোলে কর্মশালা

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেন জামালপুরের একমাত্র আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪৫১ বার পঠিত

জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুর জেলার একমাত্র আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমাকে (৭৩) ১৫ জানুয়ারি বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রাতে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের দিঘলাকোনা গ্রামে নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন তিনি। পাকস্থলীতে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। , ১৫ জানুয়ারি বেলা ১১টায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমার কফিনে জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শন করেন নির্বাহী হাকিম বকশীগঞ্জের ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ও মজিবর রহমানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে খ্রিস্টান ধর্মীয় রীতি অনুসারে পারিবারিক সমাধিস্থলে তাকে সমাহিত করা হয়। প্রসঙ্গত, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমা তাঁর সহধর্মিনী মিলন দাংগো ও একমাত্র ছেলে বকশীগঞ্জের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জয় দাংগোসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দরিদ্র হলেও তিনি ছিলেন পরোপকারী ও সাদামনের মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে গারো আদিবাসীসহ পাহাড়ি বাঙালি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মুক্তিযোদ্ধা এবেন্দ্র সাংমা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জামালপুর জেলায় তিনিই ছিলেন একমাত্র আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে টানা নয়মাস যুদ্ধের রণাঙ্গণে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তিনি প্রথমে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় এবং পরে জামালপুরের ঐতিহাসিক কামালপুরে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশের জন্য অবদান রাখেন। সামান্য কিছু জমি চাষাবাদ ও মুক্তিযোদ্ধাভাতায় তাদের সংসার চালানোই দায় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার পাকস্থলিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে উন্নত চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরতে হল বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে। মেরাজুল ইসলাম রবিন

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com