অনলাইন নিউজ : আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা তাদের গরু-ছাগল নিয়ে হাটে আসছেন। এদিকে, বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় উদ্বিগ্ন বিক্রেতারা। বিভিন্ন জেলার পাঠানো নিউজ:
তালা (সাতক্ষীরা) :বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিপাকে খামারিরা। থেকে যাচ্ছে অনেক বড় গরু। সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে ব্যাপারী না আসায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চাহিদা রয়েছে ৫৩ হাজার পশু। এছাড়া আরো প্রায় ২৫ হাজার পশু সাতক্ষীরা থেকে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। আবাদের হাটে চারটি বড় জাতের গরু নিয়ে আসা আব্দুল হাকিম বলেন, গতবারের চেয়ে গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। খরচ অনুপাতে মণপ্রতি বিক্রি হওয়া লাগে ৩০ হাজার টাকা। সেখানে ২৪ হাজার টাকার বেশি কেউ দাম বলছে না। তাছাড়া তার কমপক্ষে আট মণ ওজনের সবচেয়ে বড় গরুটা কিনতে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। গরু কিনতে আসা ইকবাল হোসেন লাভলু জানান, গতবার গরুর দাম ছিল ২০ হাজার টাকা মণ। আর এবার ২৫ থেকে ২৬ হাজার টাকা মণ। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার কোরবানিও করতে হবে। তাই দেড় মণ ওজনের ছোট একটি দেশি গরু কিনেছি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুর রউফ জানান, জেলায় পশুর সংকট নেই। কয়েকমাস আগে থেকে আমরা খামারিদের দিকে নজর রেখেছি, যাতে অনুনমোদিত ওষুধ খাইয়ে কেউ গরু মোটাতাজা করতে না পারে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ২ হাজার ৩২৫টি গরুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি খামার প্রাণিসম্পদ বিভাগের অধীন নিবন্ধিত। এসব খামারে ১৯ হাজার ৮২৩টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্ত্তত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কোরবানির জন্য ৮ হাজার ৪১৯টি ছাগল-ভেড়াসহ অন্যান্য উপযুক্ত প্রাণী রয়েছে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) :দেশি গরু দিয়ে এবার কোরবানি দিতে আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্থানীয় খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে পালনকারীদের প্রস্তুতিও ছিল ভালো। ফলে বিভিন্ন হাটবাজারে দেশি গরুতে খুশি ক্রেতারা। ঐতিহ্যবাহী ঢেলাপীর হাটে শেষ মুহূর্তের কোরবানির পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে। হাটে আমদানির সঙ্গে ক্রেতার আগমনও উল্লেখযোগ্য। হাটে আগত ক্রেতারা বলছেন, দাম অনেকটা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। কোরবানির গরু কেনার জন্য হাটে এসেছিলেন সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের মাহাবুল ইসলাম। তিনি জানান, এবার গরুর দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখেছি দেশীয় গরুর প্রচুর আমদানি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এবার জেলায় ৭৪ হাজার ৭২৫টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্ত্তত করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলায় এবার প্রস্তুতি ভালো।