শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহীতে নির্মাণাধীন ভবনে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ, ভাই-ভাবিসহ আটক ৩ বেড়ানোর কথা বলে বোনকে খুন করলেন সৎভাই রাজশাহীতে সিবিএ নেতাকে মারধরের অভিযোগ, চিনিকলে উত্তেজনা আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজন :জেলা পর্যায়ে উদ্বোধনী ও আইডিয়া শোকেসিং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ৮০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রামেবি স্থাপনের জমির দখল বুঝে পেল কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে হোটেল ও রেস্তোরা পরিদর্শনে রাসিকের স্যানিটারী পরিদর্শকগণ মশা নিয়ন্ত্রণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে কোভিড-১৯ এর টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ২০৯ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিকেলে সচিবালয়ে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রী ক্লিয়ার করেছেন, ৮ তারিখ থেকে যে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু হওয়ার কথা সেটা যথাযথভাবে চলবে। প্রথম ডোজ কাল (৬ এপ্রিল) শেষ হয়ে যাবে।’ ভ্যাকসিনের মজুত কম থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অসুবিধা হবে না। আমি কথা বলেছি, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দিতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। টিকা যা আছে, তা দিতে দিতেই আরও টিকা চলে আসবে।’
মন্ত্রিসভায় রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রোজার সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয় মিটিংয়ে ছিলেন। উনাদের প্রস্তুতি আছে, সবকিছু আছে।’
তিনি বলেন, ‘তেলের দাম ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বেশি বলে তারা একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে রিবেট (ছাড়) দিলে তারা কম দামে বাজারে তেল দিতে পারবেন। রাজস্ব বোর্ড বলেছে, এই বিষয়ে তারা চিন্তা করবে। মন্ত্রিসভা বলেছে, যে পরিমাণ রিবেট দেয়া হবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে খুচরা মূল্যে সেই পরিমাণ প্রভাব যাতে পড়ে।’ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মজুতও পর্যাপ্ত আছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সভায় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার টাকা হারে বছরে দুটি উৎসব ভাতা এবং একই সঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা করে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জীবিতদের মহান বিজয় দিবসের ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এজন্য খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উৎসব ভাতা প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে সব শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবস ভাতার আওতায় আসবেন।’
সচিব বলেন, ‘বর্তমানে ৫ হাজার ২২২ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পঙ্গুত্বের মাত্রাভেদে চারটি (এ, বি, সি ও ডি) শ্রেণিতে মাসিক ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা, ৯৫২ জন মৃত-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার ৮১৬ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতা এবং বছরে ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে।’
কিন্তু যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং জীবিত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা পাচ্ছেন না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারকে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা হারে, ৬৮ বীর উত্তম পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে, ১৭৫ বীর বিক্রম পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা হারে এবং ৪২৬ বীর প্রতীক পরিবারকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতা দেয়া হচ্ছে।’
বর্তমানে সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ১২ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দু’টি উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে ৫ হাজার টাকা পেয়ে আসছেন। এছাড়া, আইন অমান্য করার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে এক বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে এদিন ‘চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ আইন-২০২১’ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে, তবে, তার অপরাধের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে ওই ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক মাস থেকে এক বছরের কারাদ- বা ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা দন্ড দেওয়া হবে।’ এছাড়া, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন আইন-২০২১ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সূত্র:বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com