বিডি ঢাকা ডেস্ক
আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে উঠবে। আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ৫ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে মাত্র ৪ দশমিক সাত তিন শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির পারদ এখনো চড়া। ডলারের তেজ কিছুটা কমলেও সংকট কাটেনি। বেড়েই চলেছে ব্যাংক ঋণের সুদহার। সরকারি-বেসরকারি দুই বিনিয়োগের গতিই মন্থর। রাজস্ব আয়, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়লেও, তা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এমন পরিস্থিতিতে জুনে আসছে আরেকটি বাজেট।
অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় তাই আগামী বাজেট খুব বড় করার পক্ষে নন অর্থমন্ত্রী। কর্মকর্তারা জানান, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা খরচের বিপরীতে ৫ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতির ৯৫ হাজার কোটি টাকা পূরণ হবে বিদেশি ঋণে। বাকিটা অভ্যন্তরীণ ঋণে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। আর জিডিপি পৌনে ৭ শতাংশ। গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ইনফ্লেশনটা কমাতে হবে। ইন্টারেস্ট রেট সহনীয় রাখতে হবে। ব্যাংকিং খাতে কিছু টাকা তো প্রাইভেট সেক্টরের জন্য রাখতে হবে। এই সবকিছু ব্যালেন্স করা যাবে দুটো ভাবে। একটা হচ্ছে রাজস্ব বাড়িয়ে আর এক্সপেনডিচারকে কন্ট্রোলে রেখে।’
প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপিতে বরাদ্দ থাকবে মাত্র ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বরাদ্দের চেয়ে মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বেশি। রাজস্ব আয়ে এনবিআরের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, ‘এমন কোনো অযৌক্তিক লক্ষমাত্রা কখনোই দেবেন না যেখানে কর কর্মকর্তারা আবার ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করা শুরু করে। যখনই হেনস্তা শুরু করে, আমাদের কিন্তু কস্ট অব বিজনেস বেড়ে যায়। এটা বেড়ে গেলে কিন্তু সরাসরি কনজিউমারের ওপর আঘাত আসে।’
সাধারণত প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। এবার বাড়ছে ৫ শতাংশেরও কম। আর বাজেট ঘাটতি ৪ শতাংশের নিচে রাখতে চায় অর্থমন্ত্রণালয়।