অনলাইন নিউজ : রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবার শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিশিষ্টজন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর মৃতদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তার ভাই ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল মুহিত কর্মজীবন শেষে রাজনীতিতে নেমে এক দশক সামলেছেন অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ এক দায়িত্ব; তারপর ছিলেন অখণ্ড অবসরে। এই অবসরে তিনি জীবন থেকে বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানান তার ছোট ভাই এ কে আব্দুল মোমেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর সময় ভাইয়ের শেষ সময়ের স্মৃতিচারণ করে মোমেন বলেন, শেষ কয়েকদিন ধরে তিনি বারবার বলছিলেন, তিনি চলে যেতে চান। বলতেন, ‘আমার কাজ শেষ, এবার আমি চলে যেতে চাই, বাকিটা তোমরা দেখো।’ গত এক সপ্তাহ চলে যাওয়ার জন্য স্থির হয়েছিলেন তিনি। অবশেষে তিনি চলেই গেলেন। মোমেন বলেন, তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন, আমরা যেন তেমন একটি সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে পারি।
৮৮ বছর বয়সি মুহিত শুক্রবার রাতে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। শনিবার সকালে গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজার পর দুপুর পৌনে ১টায় মুহিতের মৃতদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমডোর এম নাইম রহমান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের উপদেষ্টা পরিষদের প্রয়াত এই সদস্যের প্রতি। শিক্ষা ও কর্মজীবনে মুহিতের কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এরকম কাজপাগল মানুষ কমই দেখেছি। কাজে আর পড়াশোনায় ডুবে থাকতেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ছুটির দিনেও দেখা যেত, সচিবালয় বন্ধ আবুল মাল আব্দুল মুহিতের অফিসে আলো জ্বলছে। তিনি এরকম মানুষ ছিলেন। তিনি অর্থনীতিবিদ হিসেবেও সফল, অর্থমন্ত্রী হিসেবেও সফল। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এদেশের রাজনীতিতে সৎমানুষ খুব বেশি নেই। তিনি শতভাগ সৎলোক ছিলেন।
মুহিতের সঙ্গে মন্ত্রিসভায় থাকা আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, আবুল মাল আব্দুল মুহিত শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ও মানবিক গুণাবলি ছিল, ওনার মতো সাফল্য আমাদের কজনের আছে।
শ্রদ্ধা জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যারা স্বাধীনতা এনেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ওয়াশিংটনে ছিলেন এবং প্রবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন, প্রবাসীদের প্রচেষ্টা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি আন্দোলন সম্ভব ছিল না।
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, তিনি দেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে নানাভাবে অবদান রেখেছেন। উনি যে কাজের মধ্যে ছিলেন, এটা আমরা ধরে রাখতে পারলে দেশের কল্যাণ হবেই।
সাবেক মন্ত্রী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, তিনি আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিকে চমৎকারভাবে সন্নিবেশ করেছিলেন। তিনি যা ভাবতেন তা বাস্তবায়নও করতে পারেন, এটা দেখিয়েছেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, অত্যন্ত সরল, সদাহাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন মুহিত সাহেব। আমলা বলি, রাজনৈতিক ব্যক্তি বলি আর মন্ত্রী বলি, তিনি বিরল ব্যক্তিত্ব।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বহুগুণে গুণান্বিত মুহিত ভাই। আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক জগৎ থেকে একজন মেধাবী লোককে হারালাম, সাংস্কৃতিক জগতের একজন পৃষ্ঠপোষককে হারালাম, অর্থনৈতিক জগতের একজন বাস্তবভিত্তিক অর্থনীতিবিদ হারালাম।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভব্যতা-ভদ্রতাসহ অনেক কিছু তার কাছে শেখার ছিল। কনিষ্ঠ ও অনুজদের মুহিত ভাই যেভাবে আপন করে নিতেন, তা ছিল অভাবনীয়। ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ যে আজকে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, সব প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ যে আজকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সর্বতোভাবে সহায়তা করেছেন। তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মাধ্যমে দেশে মোট ১২টি বাজেট পেশ হয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের ১০টি বাজেট দিয়েছেন একাধারে সিনিয়র রাজনীতিবিদ ও এই প্রাজ্ঞ মানুষটি। আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, পূজা উদযাপন পরিষদ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স, সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনসহ নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মুহিতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিলেটে রোববার বেলা ২টায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজার পর নগরীর রায়নগরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে মুহিতকে। এর আগে দুপুর ১২টায় তার মৃতদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে সড়কপথে তার মৃতদেহ সিলেটে আনা হবে।
গত বছরের জুলাইয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সে সময় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক এই অর্থমন্ত্রী।
জানাজার বিষয়টি জানতই না সংসদ সচিবালয় : করোনাভাইরাস মহামারির গত দু’বছর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় কোনো জানাজা না হওয়ার ধারাবাহিকতায় সেখানে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের জানাজা হয়নি। তবে শুক্রবার রাতে মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা হবে। কিন্তু সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি আগে থেকে না জানানোর কারণে জানাজার আয়োজন করা হয়নি। এক্ষেত্রে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল বলেও জানা গেছে।
জানাজা হবে, এমন ঘোষণা থাকায় কিছু মানুষ সংসদ চত্বরে গিয়েছিল। মণিপুরীপাড়া, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আসাদগেট সংলগ্ন সংসদের তিনটি প্রবেশপথে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে ঢুকতে পারেননি। সংসদের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদে জানাজা সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো নির্দেশনা ছিল না। গুলশানের আজাদ মসজিদে শনিবার সকালে মুহিতের জানাজার আগে তার ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিডের কারণে অ্যারেঞ্জমেন্ট ঠিক নেই। আমরা শুক্রবার এই ভেন্যু (সংসদ) যখন ঠিক করেছিলাম, এ অ্যারেঞ্জমেন্ট দেখিনি। দু’বছর ধরে সংসদে কোনো জানাজা হয়নি।
সাধারণত বর্তমান ও সাবেক কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে সংসদ চত্বরে জানাজা হওয়ার রেওয়াজ আছে। প্রয়াতের পরিবার সংসদ সচিবালয়ে যোগাযোগ করলে জানাজার আয়োজন করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর কয়েকজন সংসদ সদস্য মারা গেলেও গত দু’বছর কোনো আয়োজন হয়নি।
জানতে চাইলে সংসদের পরিচালক (গণসংযোগ) তারিক মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংসদে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর জানাজা হবে এটা সংসদ থেকে জানানো হয়নি। আর এ ধরনের আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। করোনার কারণে এখানে কোনো জানাজা হয়নি।’ তবে এবার ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদ সচিবালয়। গত দু’বছর এ আয়োজন ছিল না।
মুহিতের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবেÑ জিএম কাদের : আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। শনিবার এক শোকবার্তায় প্রয়াত মুহিতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। শোকবার্তায় জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে মুহিতের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন। কাদের বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঐতিহাসিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত অসামান্য অবদান রেখেছেন। পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের চিত্র প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকারের চাকরি ইস্তফা দিয়ে অস্থায়ী সরকারের কর্মকাণ্ডে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশ ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুহিত। তার মৃত্যুতে দেশ এক অকৃত্রিম অভিভাবক হারাল।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
ভালো কাজের জন্য মুহিত বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল- অর্থমন্ত্রী : সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত পৃথিবীতে শারীরিকভাবে না থাকলেও তার ভালো কাজগুলোর জন্য অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। সাবেক অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ কথা বলেছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শনিবার রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে আবুল মাল আব্দুল মুহিতের প্রথম জানাজার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবসময় তিনি সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করতেন। ওনার যে হাসি, হাসিটা কেউ নকল করতে পারবে না। আমি আন্তরিকভাবে বলি, উনি ভালো মানুষ। আগাগোড়া ভালো। তিনি এ জাতির জন্য, আমাদের দেশের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। আমার বিশ্বাস, তিনি আমাদের মধ্যেই থাকবেন।’
এ জাতীয় আরো খবর..