বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের রপ্তানি বাড়াতে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ অ্যাপ সহায়ক হবে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। তিনি বলেছেন, গত বছর মাত্র ৩ হাজার ১০০ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে যা পরিমাণে অনেক কম। তবে আগামীতে এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা বাড়িয়ে আমের রপ্তানি বাড়ানো যাবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে বায়ারদের বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব হবে। মাঠ পর্যায়ে চাষিরা কিভাবে আম উৎপাদন করছে সেটি অ্যাপে রেকর্ড থাকবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উৎপাদন প্রক্রিয়া মনিটরিয় করবেন। আমগুলো রপ্তানিযোগ্য হচ্ছে কি-না তা সবাই দেখতে পারবে।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আম গ্রেডিং, শর্টিং ও শোধন কেন্দ্র (প্রি এক্সপোর্ট কোয়ারেন্টাইন ফ্যাসিলিট) কেন্দ্রে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ নামের এই অ্যাপের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন উইংয়ের পরিচালক ডা. মো. শফি উদ্দিন বলেন, আম রপ্তানি বাড়াতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। এ অ্যাপ তার মধ্যে অন্যতম। আমরা বিভিন্নস্থানে আম গ্রেডিং, শটিং ও শোধন কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। এক কথায় বিদেশে আম রপ্তানি বাড়াতে সব ধরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বারমাসী আম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফার্মি অ্যাগ্রোর রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করছি সেটা বিশ্বাস করতে চান না বিদেশি বায়াররা। এ অ্যাপে সব রেকর্ড থাকার কারণে বায়ারদের আমরা বোঝাতে সক্ষম হব যে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করেছি।
এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুনাইন বিন জামান, শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া, নওয়াবি ম্যাংগো’র ইসমাইল খান শামীম, হাসনাত ম্যাংগোর হাসনাত মামুনসহ জেলা আমচাষি ও ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।