অনলাইন নিউজ : ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলার কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-এর জীবিত ২৮ নাবিককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বরাতে মিশর সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আটকেপড়া জাহাজের নাবিকদের জাহাজ থেকে ইউক্রেনের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন নিরাপদে আছেন। তাদেরকে খুব দ্রুত পোল্যান্ডের ওয়ারসে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ওই জাহাজে রকেট হামলার ঘটনায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ারের মরদেহও নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মরদেহটি দেশে আনার চেষ্টা চলছে।’
এছাড়া নাবিকদের ছবি নিজের ফেসবুক ওয়ালে প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তবে জাহাজ থেকে সরিয়ে নাবিকদের এখন কোথায় রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রকেট হামলার শিকার হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৩৩) নিহত হন। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।
ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা জাহাজটিতে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন।
বিএসসি সূত্র জানিয়েছে, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..