বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছেন জেলেরা। এ সময়ে সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) প্রথম প্রহর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এ হিসেবে আজই ইলিশ বেচাকেনার শেষ দিন।
শেষ দিনে ইলিশ কিনতে বাগেরহাটের একমাত্র সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে ভিড় জমিয়েছেন ভোক্তারা। তবে দাম চড়া হওয়ায় হতাশা ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ভোর থেকেই কেবি বাজারে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়। তবে দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি ইলিশ অন্যান্য দিনের তুলনায় ১০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
এক কেজি থেকে ১২শ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ ১২শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২০০ গ্রাম বা তার কম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪৫০-৫০০ টাকায়। যা অন্যান্য সময় বিক্রি হতো ২০০-৩০০ টাকা কেজি।
ট্রলার মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কাল থেকে সাগরে নিষেধাজ্ঞা শুরু। এবার তেমন মাছও পাইনি। যা পেয়েছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রির পরও ঠিকঠাক খরচ উঠবে কি না বলা যাচ্ছে না।’
সাগর থেকে ফেরা জেলে রফিকুল আমানি বলেন, ‘সাগরে যাওয়ার পর থেকে কয়েকবার ঝড়ের কবলে পড়ে জাল ফেলতে পারিনি। তারপরও যে কয়বার ফেলেছি তেমন মাছ পাইনি। আবার কাল থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এভাবেই চলে আমাদের জীবন।’
আব্দুল কাদির নামের একজন পাইকারি ক্রেতা বলেন, ‘সপ্তাহে দু-তিনদিন এখান থেকে মাছ কিনে কচুয়া, বাধাল, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন স্থানে খুচরা বিক্রি করি। আজ যে দামে মাছ কিনলাম তাতে খুচরো খরিদ্দারদের কাছে বেচতে খুব কষ্ট হবে।’
আল মামুন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘কেবি বাজারে আগেও বেশ কয়েকবার মাছ কিনেছি। তখন দেখতাম পোন হিসেবে মাছ বিক্রি হতো। আজ হচ্ছে কেজি হিসেবে। তাও দাম অনেক বেশি। ৬ কেজি মাছ কিনেছি পাঁচ হাজার টাকায়।’
কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী বলেন, শেষ সময়ে সবাই চাচ্ছেন মাছ কিনতে। তাই দাম বেশি। জেলে ও ব্যবসায়ীরাও চাচ্ছেন তাদের মাছ বিক্রি করে চলে যেতে। তবে কেউ কেউ আরও বেশি দামে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। রাতের আগেই সব বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে দিনরাত আমাদের টহল জোরদার থাকবে।