অনলাইন নিউজ : ঈদের বাকি আর মাত্র তিন-চার দিন। এসময়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঢাকাবাসী। প্রতিবছর ঈদ ঘিরে দেশের প্রতিটি যাতায়াত মাধ্যমে থাকে উপচেপড়া ভিড়। এ বছরের চিত্রও ব্যতিক্রম নয়। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে যাত্রীচাপ নেই। কাউন্টারগুলোও প্রায় ফাঁকা। যাত্রী সংকটে কিছু কিছু দূরপাল্লার বাসের শিডিউল বাতিল করা হচ্ছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। গত কয়েকদিন যাত্রীচাপ তেমন ছিল না। তবে আজ বিকেলের পর থেকে টিকিট কাউন্টারে ঈদযাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে আশা তাদের।
গাবতলীতে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলরত গোল্ডেন লাইন বাসের কাউন্টারে কথা হয় বাবু নামের একজনের সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, যাত্রী সংখ্যা খুবই কম, তাই সকাল থেকে তিনটি বাস সিট খালি রেখে ছাড়তে হয়েছে। ৪০ সিটের বাসে অর্ধেকে সিটই ফাঁকা। যে কারণে দিনের বেলা আর কোনো বাস না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মিরপুরের বাসিন্দা শিক্ষার্থী জনি গ্রামের বাড়ি খুলনায় যেতে এদিন সকালে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। তিনি গত ২৫ এপ্রিল অনলাইনে সোহাগ পরিবহন থেকে খুলনার টিকিট সংগ্রহ করেছেন। আজ বেলা ১১টায় তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাস ছাড়ার কথা।
জনি বলেন, ভেবেছিলাম বাসস্ট্যান্ড অনেক ভিড় হবে, কিন্তু এখানে এসে উল্টোটা দেখলাম। মানুষের ভিড় কম থাকায় একরকম ভালই লাগছে। ঈদের আগে এ ধরনের ঢিলেঢালা চিত্র আগে দেখিনি।
ডিপজল কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা হাফিজ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় দিনের বাসের শিডিউল বাতিল করা হচ্ছে। টিকিট বিক্রি হওয়ার পর বাস ছাড়ার সিডিউল করা হচ্ছে। যাত্রীদের যেন কোনো রকম হয়রানিতে পড়তে না হয়, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত।
এদিকে সকালে বাসস্ট্যান্ডে এমন অনেককেই দেখা গেছে, যারা শুক্র ও শনিবারের ঈদযাত্রার টিকিট সংগ্রহ করতে এসেছেন। তবে বেশিরভাগ পরিবহনের তিনদিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।গতকাল বুধবার থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এরইমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চাপ বাড়ছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও।