বিডি ঢাকা ডেস্ক
এ বছর ঈদ যাত্রা অনেকটাই ভিন্ন রূপে শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, এবং গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় আমাদের সহকর্মীরা উপস্থিত থেকে যাত্রার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
রেলযাত্রা: নির্দিষ্ট সময়ের শিডিউল
রুপল সকাল থেকেই বিমানবন্দর রেলস্টেশন পরিদর্শন করছেন এবং জানিয়েছেন, এবারের ঈদ যাত্রা অনেকটাই স্বস্তির। ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট শিডিউল অনুযায়ী চলছে, যা আগে অনেক সময় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াত। তবে এবার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারছেন। বেশ কয়েকটি দিন ছুটি এবং রেকর্ড সংখ্যক ছুটি থাকার কারণে যাত্রীরা একযোগে বাড়ি ফিরতে না গিয়ে ধাপে ধাপে যাত্রা করছেন। তবে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝামেলা ছিল, তবুও ট্রেনে ওঠা বা সিট পেতে বড় কোনো সমস্যা হয়নি। স্টেশনে আগেভাগে পৌঁছানোর পরও যাত্রীরা ট্রেনের নির্দিষ্ট সিটে বসতে পারছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং ছাদে চলাচল না হয়।
লঞ্চ যাত্রা: নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আছেন আতাউর কাউসার, যিনি জানিয়েছেন, এবারের ঈদ যাত্রায় লঞ্চে কোনো অতিরিক্ত যাত্রী নেই। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি লঞ্চে যাত্রী ধারণক্ষমতার সীমা পূর্ণ হলেই তা ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে, ফলে অতিরিক্ত ভিড়ের ঘটনা ঘটছে না। নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী টহল দিচ্ছে, যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। এমনকি কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে যাত্রীরা একটি ছিনতাইকারীকে ধরেছেন, তবে সাধারণভাবে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সড়ক পথে যাত্রা: গাজীপুরের চিত্র
গাজীপুরের চন্দ্রায় এখন হাজার হাজার যাত্রী সমাগম হয়েছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মীরা ছুটির পর বাড়ি ফিরছেন, যা সড়কপথে যানজট সৃষ্টি করেছে। দুটি মহাসড়ক এক হয়ে যাওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ভলেন্টিয়ার এবং অন্যান্য বাহিনী কঠোরভাবে কাজ করছে তবে সড়কে অনেক সময় ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ উঠছে।
এবার ঈদ যাত্রা স্বস্তির হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি ছিল, তবে নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনা সব মিলিয়ে সবার জন্য ঈদের যাত্রা নির্বিঘ্ন হতে যাচ্ছে।