বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জিয়ানগর এলাকায় বসতবাড়িতে ককটেল বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মা ছেলেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাতে পৌণে নয়টার দিকে জিয়ানগর এলাকায় মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম, তার মা ফাহমিনা বেগম,এবং বিটলু নামে এক ব্যক্তি ককটেল তৈরি ও বিস্ফোরক মজুদ করেছিলো। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে তাহমিনা বেগম ও তার ছেলে শহীদ গুরুতর দগ্ধ হোন। এ সময় স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এঘটনায় শহিদুল ইসলাম, ফাহমিনা, বিল্টুসহ অজ্ঞাতনামা আরো দু থেকে তিনজেনর নামে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণীতে আরো জানা যায়, এই মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামের নামে মোট সাতটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবাগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আলমগীর জাহান বলেন, ককটেল তৈরী ও বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ মামলার দ্বিতীয় আসামি ফাহমিনা বেগম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। বাকি প্রধান আসামি শহিদুল ও বিল্টুকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,শনিবার (২২ অক্টোবর) রাত পৌণে ৯টার দিকে পৌর এলাকার উদয়ন মোড়-জিয়ানগর এলাকায় ককটেল বানাতে গিয়ে তাহমিনা বেগম ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম গুরুতর দগ্ধ হয়। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ঘরের জানালা উড়ে যায় ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গুরুতর দগ্ধ হোন মা-ছেলে উভয়ে।
এ সময় স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মাঝপথে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে দগ্ধ অবস্থায় আত্মগোপনে চলে যান মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ।