বিডি ঢাকা ডেস্ক
কচুয়ার পদ্মনগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
১৯ মে (রবিবার)বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজরা রফিকুল ইসলাম মুকুল এর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত সহ ইতিপূর্বে স্কুলের বই বিক্রির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক সরোজমিনে গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা জানতে পারেন।
মোঃ মতিউর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন,আমার কাছ থেকে উপবৃত্তির কথা বলে টাকা নিয়েছেন।এছাড়াও অনেক অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল সত্তার বলেন, আমাদের এই হেডমাস্টার আসলে অযোগ্য।একজন প্রধান শিক্ষকের যে যোগ্যতা থাকা দরকার তা নেই।তিনি স্কুলের বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রি করে ধরে খেলেও মানবিক কারনে এলাকাবাসী তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে কিন্তু আবারো তিনি একই কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এর ন্যায় বিচার চাই। মোঃ জহিরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, এর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বই নিয়ে একটা দুর্নীতি করেছে।বর্তমানে উপবৃত্তি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে ৫ থেকে ৬ শত টাকা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে তার বিচারের দাবি জানাই। পদ্মনগর স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমান শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বলেন, এ বছর উপবৃত্তির কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩ শত টাকা নিয়েছেন। অফিশিয়াল ভাবে উপবৃত্তি টাকা আটকে আছে সেখান থেকে ছাড়ানোর জন্য টাকা প্রয়োজন কিন্তু কোন অফিসারের কাছে টাকা আটকে আছে তা আমাদের বলেনি।
শিরিনা খাতুন নামে এক অভিভাবক বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করেন। এ পর্যন্ত আমি তাকে ৮ শত টাকা দিয়েছি।এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আমি আগে কখনো দেখিনি।
এ বিষয়ে আরো একাধিক অভিভাবক দের কাছ থেকে ৪ শত টাকা থেকে ৬ শত টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এলাকাবাসী এর ন্যায় বিচার চেয়ে তার অপসারণের দাবি করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন উপবৃত্তি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়ে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকরা জানেন না তবে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজরা রফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, এর সত্যতা নেই,আসলে স্কুলটি গরিব এলাকায় এখানকার ছেলে মেয়েরা অত্যাধিক গরিব।তাদের লেখা পড়ার জন্য সেশন চার্জ, স্কাউট ফি ও বেতন নেওয়া হয় না।তাই এগুলো পরিচালনার জন্য যৎসামান্য কিছু টাকা নিতে হয়।তাই আমি ১৫ জনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মানিক অধিকারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষ
য়ে আমি এখনো কিছু জানিনা।তবে অনলাইনে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়,এখানে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।