প্রবীণ, মধ্যবয়সী ও নারীরা বেশি টিকা নিতে আসেন। তবে বেশির ভাগের আগে থেকে টিকা নেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা ছিল না। তাঁরা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের এক কপি অনুলিপি সঙ্গে এনে টিকা নেওয়ার সুযোগ পান। তবে যাঁদের অ্যাপে নিবন্ধন করা ছিল, কিন্তু মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাননি, তাঁরাও টিকা নেওয়ার সুযোগ পান।
নিবন্ধন না করেই টিকা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা করপোরেশনের পক্ষ থেকে করা মাইকিং থেকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন। কেউ কেউ আবার গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজে গিয়ে মসজিদ থেকে টিকা প্রদানে বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান।
মাইকিং শুনে টিকা দিতে আসেন সুমন খান ও ফারিয়া আক্তার দম্পত্তি। তাঁদের বাসা মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন সড়কে। সুমন হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন, ফারিয়া গৃহিণী। সুমন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে টিকার জন্য আবেদন করব, তা জানা ছিল না। তাই আবেদন করা ও টিকা নেওয়া কোনোটাই হচ্ছিল না। গতকাল বিকেলে টিকা দেওয়ার মাইকিং শুনে স্ত্রীকে নিয়ে এখানে চলে আসি।’ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টিকা নেন এই দম্পতি।
এই কেন্দ্রে যাঁরা টিকা দিতে আসেন, তাঁদের জন্য কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে আরাম করে বসে অপেক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়। তবে টিকা নিতে সকালেই নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি মানুষ চলে আসায় স্বেচ্ছাসেবকেরা ওই লোকজনের উদ্দেশে বলেন, টিকাদান ১২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। তাই আজ যাঁরা টিকা পাবেন না, তাঁরা আগামীকাল চলে আসবেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার দেশের মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছে। আর আমি আমার ওয়ার্ডে টিকা নিতে এসে যাতে কেউ কোনো রকমের অবহেলার শিকার না হয়, সে বিষয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। টিকা নেওয়া যাতে সহজ হয়, তাই বসার ব্যবস্থা করেছি। আর টিকা নেওয়ার পরে যাতে কিছু খেতে পারে, সে জন্য কেক, পানি ও জুসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ মানুষকে উৎসাহিত করতে নিজের সাধ্যমতো সব চেষ্টা তিনি করেছেন বলেও জানান।