অনলাইন নিউজ : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে ভারতে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লের এক কর্মকর্তা ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের পশ্চিমের রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম লক্ষ্মীনারায়ণ নাগার, বয়স ৭৩ বছর। তিনি গত সপ্তাহে মারা গেছেন।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সেটির জিনোম সিকয়েন্স করে জানা যায় তিনি ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ছিলেন। ৩১ ডিসেম্বর উদয়পুরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
গত ১৫ ডিসেম্বর পরীক্ষায় লক্ষ্মীনারায়ণ দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর থেকে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। তিনি ডায়বেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ সহ নানা দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছিলেন।
মারা যাওয়ার আগে দুই বার পরীক্ষায় তিনি করোনাভাইরাস ‘নেগিটিভ’ হয়েছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিড পরবর্তী নিউমোনিয়ার কথা বলা হয়েছে।
উদয়পুরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিনেশ খারাদি বলেন, তার শরীরে জ্বর, কাশি এবং সর্দি সহ আরো কিছু উপসর্গ ছিল। তার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জিনম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয় এবং গত ২৫ ডিসেম্বর আমরা পরীক্ষার ফল হাতে পাই। তারপর গত ২১ ডিসেম্বর এবং ২৫ ডিসেম্বর দুইবার তার নমুনা পরীক্ষা কর হয় এবং ফলাফল দুইবারই ‘নেগিটিভ’ আসে। তবুও তার মৃত্যুকে ওমিক্রন সম্পর্কিত মৃত্যু বলে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
ভারতে এখনে পর্যন্ত ২ হাজার ১৩৫ জনের দেহে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৬৫৩ জন এবং রাজধানী দিল্লিতে ৪৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে বাস্তবে আরও অনেক বেশি মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ সবার জিনোম সিকোয়েন্স করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভারতে করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, রাজধানী দিল্লিতে আজ প্রায় ১০ হাজার নতুন কোভিড রোগী সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শুরু হয়ে গেছে। আর ‘দিল্লির জন্য, এটি পঞ্চম তরঙ্গ’।
জৈন আরও বলেন যে, ওমিক্রন সনাক্তের জন্য দিল্লি থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ নমুনা এখন জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে, কারণ সমস্ত নমুনার সিকোয়েন্সিং সম্ভব নয়।
অতি-সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এখন পর্যন্ত দেশটির ২৩টি রাজ্য ও ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়েছে।