শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরও বাড়ানোর পরামর্শ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ২০১ বার পঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে চলমান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে এই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়াতে চান তারা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, চলমান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলেও আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আজ রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে ১৫৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে করোনা শনাক্তের পর এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ ছাড়া গত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬১ জন।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী বিধিনিষেধের পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সারা দেশে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ওইদিন থেকে মাঠে নামেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অকারণে কেউ রাস্তায় বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন তারা। এ ছাড়া বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়ার অপরাধে মামলা, জরিমানা ও বিভিন্ন রকমের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।

চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র, জনসমাবেশ হয়—এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ।

অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে মানা করেছে সরকার। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তবে শিল্পকারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, রাজস্ব আদায় কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার্গো ভেসেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে। বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র, নৌ, স্থল) ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রয়েছে।

এ ছাড়া বিধিনিষেধের সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চালু চলবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা করতে দেওয়া হচ্ছে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করতে পারছে। তবে হোটেলে বসে খাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com