অনলাইন নিউজ : দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, শনিবার দেশের এককোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন কর্মসূচি ছিল, ওইদিন ১ কোটি ২০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে এককোটি ১১ লাখ মানুষকে। যা বিশ্বে বিরল।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪২তম বিসিএসে (বিশেষ) নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৪ হাজার চিকিৎসকের অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেটকৃত মানুষের মধ্যে প্রায় শতভাগ মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। নতুন করে টিকা কর্মসূচির সময়সীমা আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সাউথইস্ট এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। আমরা করোনা মোকাবিলায় সফলতা পেয়েছি। এর পিছনে অনেক কাজ করতে হয়েছে। ২০ শয্যা করোনার জন্য আলাদা হাসপাতাল করতে হয়েছে। ল্যাব, অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হয়েছে। টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই টিকা নিয়ে অনীহা দেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় টিকা না নিতে আন্দোলন হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু আমাদের জনগণ টিকা নিয়েছে, যে কারণে আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি। আমাদের দেশের মানুষ টিকাবান্ধব।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন, তাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে। দেশে অসংক্রামক রোগ বেড়েছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আপনাদেরকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে চাওয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রায় লক্ষাধিকের উপর পরীক্ষা দিয়ে চার হাজারের মতো উত্তীর্ণ হয়েছেন। এটা বিশাল অর্জন। এখন নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে ভালো সেবা দিবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভালো কাজ করলে উন্নতি আর সফলতা আপনাদের পিছনে দৌড়াবে। ওগুলোর জন্য আপনাদের দৌড়াতে হবে না। মানুষের জন্য কাজ করলে সুনাম হবে, পাশাপাশি আল্লাহর রহমতও আপনাদের ওপর থাকবে। জাহিদ মালেক বলেন, গ্রামের মানুষের বেসরকারি হাসপাতালে সেবা নেওয়ার সাধ্য নেই, তাদেরকে আপনাদেরই সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকদের মন হবে উদার, সেবার। আপনাদের কাছে বড় ছোট থাকবে না। আপনারা দেখবেন কার রোগ বড় কার রোগ ছোট।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ বিভিন্ন চিকিৎসকরা।
এ জাতীয় আরো খবর..