রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
২০ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম! নির্মাণকাজ শেষ হতেই পুকুরে ধসে পড়লো সড়ক ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাগেরহাট কারাগারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চাঁপাইনবাবগন্জের বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্রে অভুতপুর্ব সাফল্যের রোল মডেল কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস হিমাচলে টানা বৃষ্টির সঙ্গে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ৬৩ দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের আভাস, কোথাও ভারী বর্ষণের শঙ্কা সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে ভোলাহাটে প্রকৃত ভিডব্লিউবি উপকারভোগীদের তালিকা প্রকাশ শিবগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময় সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভাঙন: নদীগর্ভে ফসলি জমি, বাড়িঘর বিলীন

কেরানীগঞ্জে মধু চাষে সফল আশিক মিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৯ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

 

কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের বোয়ালি গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ। মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। তাই মাঠের পাশেই এখন চলছে মধু সংগ্রহের কাজ। শীতকালীন শস্য সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা । সরিষা খেতের পাশেই বসানো হয়েছে মৌ চাষের বাক্স। এসব সরিষার ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির ঝাঁক। সংগৃহীত মধু নিয়ে জমা করছে খেতের পাশেই স্থাপিত মৌ-বাক্সে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃত সরিষা মাঠে চলছে মধু আহরণ। সরিষা বাগানের পাশেই ফাঁকা একটু জায়গার বেশ কিছু কাঠের বাক্স। সেখানে পুরো মাঠ থেকে মৌমাছির আনাগোনা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেসব বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে।

মধু চাষি আশিক জানান, বিভিন্ন সময় আমি বিভিন্ন এলাকা থেকে কালজিরা ফুলের মধু ও লিচু ফুলের মধুও সংগ্রহ করে থাকি। বিভিন্ন ফুল থেকে মধু আহরণ করছি। আমাদের কাছে খাটি মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। কেউ খাটি মধু আমাদের কাছ থেকে নিতে চাইলে দিতে পারবো। আমরা বছরে ৪বার মধু সংগ্রহ করি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি মধুর দাম ৫৫০ টাকা।  মধুর চাষ করতে চাইলে আমরা সহযোগীতা করবো।

রনি নামে মধু শ্রমিক বলেন, আমি এ খামারে ৩ বছর ধরে কাজ করি। খামারে কাজ করে আমার সংসার চালায়। আমরা যে ফুলের মধু সংগ্রহ করি তা একেবারে ফ্রেস ও প্রাকৃতিক মধু। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে মধু কিনে নিয়ে যায়। এখানকার মধুর অনেক চাহিদা রয়েছে। সারা বাংলাদেশে আমাদের এ মধু চলে যায়।কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন বলেন, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির চাষ হলে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। এতে সরিষা ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন সরিষার উৎপাদন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মধুর উৎপাদনও। সরিষা ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান হচ্ছেন সরিষা ও মৌ-চাষীরা। যে সরিষাখেতে মৌমাছি নেই, সেখানে সরিষার ফলন বেশ কম হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com