অনলাইন নিউজ : সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউনে আজ সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মানুষ বের হয়েছে কম, তাছাড়া সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি কারণে মানুষ একেবারেই ঘরবন্দি সময় পার করছে। তারপরেও যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়েছে তারাও বৃষ্টির কারণে দ্রুত ঘরমুখী হয়েছে।
অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় কাজে আইন অমান্য করে বাইরে বের হওয়া ঠেকাতে সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় ডিউটি করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। লকডাউনের শুরু থেকেই মাঠে পুলিশের পাশাপাশি কোভিড সচেতনতায় কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বিকেলের দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ও তৎপর হতে দেখা গেছে।
শাহবাগ মোড়ে তিনভাগে ভাগ হয়ে তিন সড়কে দাঁড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। চলাচলকারী প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরে চলাচল করছে এমন কয়েকজনকে পাওয়া যায়। বাইরে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের সামনে যেতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সেনাবাহিনীর এ দলটির দায়িত্বে ছিলেন মেজর হাসান চৌধুরী। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনা সচেতনতায় সকাল থেকে কাজ করছেন আমার নেতৃত্বে এক দল সেনাবাহিনীর সদস্য। শাহবাগ আসার আগে তেজগাঁও, হাতিরঝিল, রমনাসহ আরও বেশকিছু জায়গায় টহল দিয়ে আমরা এখানে এসেছি। জনসমাগম হয় এ সকল জায়গায় আমরা বেশি যাচ্ছি।
তিনি জানান, মূল সড়কের তুলনায় অলি গলিতে সাধারণ মানুষের চলাচল বেশি। তবে গতবারের তুলনায় এবার মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা কম।
সরকারের সিদ্ধান্তকে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিয়েছে। নির্দেশনা মেনে ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। তারপরও যারা আইন মানছে না তাদেরকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনছি।’
লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে জানান মেজর হাসান।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে