বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়াগোলা মোড়ের পেট্রল পাম্প হতে আতাহার বুলুনপুর ফারুক অটোরাইস মিল পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে।
জানা যায়, এ সড়কটিকে ঘিরে দুই ধারে গড়ে উঠেছে বেশকিছু অটোরাইস মিল। ওইসব অটোরাইস মিলের বহুসংখ্যক ট্রাক ধান-চাল পরিবহন করে থাকে এ সড়ক দিয়ে। পাশাপাশি এ সড়ক দিয়ে নাচোল, নওগাঁ, তানোর যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহী বাসসহ অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। খানাখন্দে ভরে থাকার কারণে এ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনুরা সড়কে আতাহার বুলনপুরে এরফান গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে থেকে ডাকাতের বাথান পর্যন্ত দুটি প্যাকেজে সরকারি অর্থায়নে মোট সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করা হয়। কাজের মধ্যে ছিল, ইন্টারসেকশনসহ রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, পেভমেন্ট পুর্নর্নিমাণ, মজবুতীকরণ, সার্ফেসিং এবং সড়কের দুই পাশে আর সি সি ইউ ড্রেন নির্মাণ। এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজে ১ হাজার ১০০ মিটার এবং দ্বিতীয় প্যাকেজে প্রায় ১ হাজার মিটার কংক্রিটের সড়ক তৈরি করা হয়।
প্রথম প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল মো. আমিনুল হক (প্রা.) লিমিটেড ও মো. ময়েন উদ্দিন (বাঁশি)। প্রথম প্যাকেজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ১৯ কোটি ৮১ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৬ দশমিক ৬৯১ টাকা।
২০১৯ সালে কাজ করা এ সড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার অংশ ভালো থাকলেও নয়াগোলা মোড় থেকে বুলুনপুর ফারুক অটোরাইস মিল এবং ডাকাতের বাথান থেকে আমনুরা শিমুলতলা পর্যন্ত স্থায়ী সংস্কার না করায় দুুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নয়াগোলা-আমনুরা সড়কে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু কয়েক জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অটোরাইস মিল মালিক জানান, এ এলাকায় পঞ্চাশের অধিক মিল-কারখানা রয়েছে; যাদের অধিকাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি হাজারো গাড়ি চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। সড়কটির বেশিরভাগ জায়গা ঠিক করা হলেও পূর্র্ব ও পশ্চিমের কিছু অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত এ সড়ক সংস্কারের অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক গৌড় বাংলাকে জানান, খানাখন্দ ও পানি জমে থাকার বিষয়টি আমরা জানি। এ রোডের কিছু অংশের কাজ বাকি রয়েছে। এ কাজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এখন টেন্ডার আহ্বানের মধ্যে দিয়ে শিগগিরই বাকি অংশের কাজ শুরু হবে।