অনলাইন নিউজ : করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১১ হাজার ১৬২ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২টি।
এর আগে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তার আগের দিন সোমবার একদিনে শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে।
তাদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ ও ৮২ জন নারী। মোট মৃত ২০১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ জন, বাসায় ১২ জন ও হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়।
একই সময়ে এই ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৬২ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০১ জনের মধ্যে বয়সের হিসেবে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৯ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ জন ও ষাটোর্ধ্ব ১১৫ জন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫৮ জন, চট্টগ্রামে ২১ জন, রাজশাহীতে ১৮ জন, খুলনায় ৬৬ জন, বরিশালে সাতজন, সিলেটে ৯ জন, রংপুরে ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে আটজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।