রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে সব পক্ষেরই সচেতনতা দরকার : আলোচনা সভায় অভিমত ক্ষতিপূরণ দাবি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল ঢাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পল্লী বিদ্যুতের ৭ জন বরখাস্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত ন্যাশনাল মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজে হামলা- ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত বরাদ্দের মধ্যেই দিবস পালন করতে হবে : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আবদুল ওয়াহেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেলের

চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে দেওয়ার তোড়জোড় আবারও শুরু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২০ বার পঠিত

বিডি ঢাকা ডেস্ক

 

 

দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিল বিগত সরকার। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটির মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছিল এজন্য। বিনা প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) বিদেশিদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের দিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

পিপিপি অথরিটির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইত্তেফাককে বলেছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার এনসিটি নিয়ে তাদের কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে বিদেশি কোম্পানির লোকজন উপস্থিত থাকবেন বলে পিপিপির ঐ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

বন্দর-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বন্দরের কার্যক্রম বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা উঠে পড়ে লাগেন। পিসিটিকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ তিনি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারলেও এনসিটির বিষয়টি আটকে যায়। যদিও এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি ডিপি ওয়ার্ল্ড নামক ঐ কোম্পানি নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। তারা বলছেন, বন্দরের টাকায় গড়ে ওঠা বন্দরের অবকাঠামোগুলো বিদেশিদের হাতে তুলে দিলে এর নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যাবে। দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাবে দেশের বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের মোট কনটেইনার পণ্য ওঠানামার ৫৫ শতাংশই হয় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি দিয়ে। সবচেয়ে আধুনিক সব যন্ত্রে সজ্জিত এই টার্মিনাল থেকে বছরে হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ২০০৭ সালের আগে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভেড়ার আগে একটি কনটেইনার জাহাজকে বহির্নোঙরে অপেক্ষায় থাকত গড়ে ১২ থেকে ১৫ দিন। আধুনিক যন্ত্র এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজের গড় অপেক্ষমাণ সময় ১২ দিন থেকে কমে নেমে এসেছে দুই থেকে আড়াই দিনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com