বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম যমুনা লাইফের বরখাস্তকৃত ৩ কর্মকর্তার মধ্যে গ্রেপ্তার ২ পলাতক মিসির রায়হান কে খুজছে পুলিশ

মোঃ আল আমিন খান
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৯ বার পঠিত

বিডি ঢাকা স্টাফ রিপোর্টার

 

 

শেখ শিবলী রাজশাহী ব্যুরোঃ যমুনা লাইফ ইনসুরেন্সের গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানিটির চট্টগ্রাম মডেল সার্ভিস সেন্টারের বীমা উন্নয়ন বিভাগের অব্যাহতি প্রাপ্ত ৩ কর্মীর ২ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় অভিযান চালিয়ে বরখাস্তকৃত দুই কর্মকর্তাকে চট্টগ্রামে তাদের নিজেদের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ২জন হলেন ওই প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম মডেল সার্ভিস সেন্টারের ইনচার্জ ও উন্নয়ন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (উন্নয়ন) মোঃ আতিকুর রহমান। পলাতক আছেন মিসির রায়হান। এ বিষয়ে পাচলাইশ থানার সাব-ইন্সপেক্টর দীপক দেওয়ান জানান, পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান

 

চলবে, যতদ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। জীবন বীমা কোম্পানি যমুনা লাইফ ইনসুরেন্সের গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কামরুল হাসান খন্দকার পাচলাইশ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৩/২০১। যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কামরুল হাসান খন্দকার নিউজনাউ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতির মাধ্যমে যমুনা লাইফ ইনসুরেন্সের চট্টগ্রাম মডেল সার্ভিস সেন্টার থেকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। আরও বলেন, বরখাস্তকৃতদের অফিসে ডাকা হলে, তারা আসেনি। তাদের আইনি নোটিস দেয়ার পরে, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করছে, এবং বিভিন্ন সময়ের কোম্পানির বিভিন্ন কর্মকর্তাকে হুমকি দিচ্ছে ও

 

অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, জীবন বীমা কোম্পানি যমুনা লাইফ ইনসুরেন্সের গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানিটির চট্টগ্রাম মডেল সার্ভিস সেন্টারের বীমা উন্নয়ন বিভাগের ৩ কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যমুনা লাইফ সূত্রে জানা যায়, ঘটনা সকলের সামনে আসার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, ৯৩ জন গ্রাহকের নিকট থেকে প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট) হিসাব খোলার কথা বলে আদায় করে তারা প্রত্যেক গ্রাহকের টাকা ২১ বছর মেয়াদী (২১ কিস্তির ১ম কিস্তি) বীমা হিসেবে কোম্পানির নিকট জমা করে। এর

 

কারণ হিসেবে যমুনা লাইফের পক্ষ থেকে বলা হয় এফডিআর হিসাব খুললে উন্নয়ন বিভাগের বীমা কর্মীরা খুব সামান্য কমিশন পান। এর মুনাফা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী গ্রাহকরা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কোন বীমা কর্মী যদি কোন গ্রাককে দীর্ঘ মেয়াদী বীমা করান তাহলে ১ম কিস্তির ৮৫ শতাংশ ও অন্যান্য সকল কিস্তি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পেয়ে থাকেন। যাতে বীমা কর্মীর এক কালীন খুব মোটা অংকের একটি লাভ হয়। তাছাড়া বীমার মেয়াদের শেষ পর্যন্ত কমিশন তো আছেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com