বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁদপুর-পদ্মা মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে জীবীকা নির্বাহ করেন এমন বেশ কয়েকটি জেলেপাড়া নৌ থানার আশপাশে। জাটকা ও মা ইলিশ প্রজনন এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের না করতে বিভিন্ন সময় অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। জেলেদের আটক, হয়রানি ও জরিমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে নৌ থানা আগুন দিয়ে জালিয়ে দেন তারা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় নৌ থানার টিনের লম্বা ঘরটি ছাই ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি। শুধুমাত্র ওপরের চাল এবং পিলারগুলো অক্ষত আছে। থানার ভেতরের কক্ষগুলোতে থাকা পুলিশের ব্যবহৃত কোন আসবাবপত্রের চিহ্নও নেই।
লঞ্চঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার (৫ আগষ্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরের আবাস জানতে পেরে নৌ থানার ওসি, কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা তাদের হাতের কাছে যা পেয়েছে তা নিয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায়। কারণ নৌ থানার পশ্চিম পাশেই রয়েছে টিলাবাড়ি নামক বড় ধরণের জেলে পল্লি এবং আনন্দন বাজার এলাকা। তারা বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে থানায় আগুন দিয়ে সব লুট করে নিয়ে যায়।
আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জাড়িত এমন তথ্য না পেলেও একাধিক জেলে জানান, জাকটা ও মা ইলিশ রক্ষা এবং নৌ পুলিশের নিয়মিত অভিযানে জেলেদের অনেক হয়রানি করা হয়। তাদেরকে নিয়মিত অর্থ না দিলে নদীতে নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয় এবং আটক করে চালান দেওয়া হয়। নৌ পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জেলেরা। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে থানায় আগুন দিয়ে।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘সোমবার সকালে আমরা থানা থেকে চলে আসি। পরে কোন সময় আগুন দিয়েছে বলতে পারবো না। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাও বলতে পারবোনা। কারণ, এখন পর্যন্ত আমরা সেখানে যেতে পারিনি।’