ফয়সাল আজম অপু : নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই অভিভাবক ছাড়াই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে, শেষ হলো কৃষ্ণগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচভিত্তিক পুর্নমিলনী ফুটবল টুর্নামেন্ট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃষ্ণগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পাসের সাল ভিত্তিক ২৪ টি দল নিয়ে ( গত ৭ ডিসেম্বর) পূর্নমিলনী ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা শুরু হয় এবং বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেশবাহুর রহমান খশরু মিঞাকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে টুর্ণামেন্ট শেষ করে আয়োজক কমিটি। এনিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সন্মানিত সভাপতি খশরু মিঞা। তিনি মুঠোফোনে জানান, বিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়ায় আয়োজকরা মাঠ ব্যবহার করেছে এবং একটি মহলের ইন্ধনে তাকে অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়নি। তিনি ক্ষোভের সাথে আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে টুর্নামেন্টের সার্বিক সহযোগিতায় থাকার কথা ছিল, বিদ্যালয় কমিটির। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই এ টুর্নামেন্ট শেষ করা হয়েছে। দলীয় কারনে স্বজন প্রীতি দেখিয়ে, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রানিহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মহসিন আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস। আর দলীয় কারনে উপেক্ষীত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে আমন্ত্রণ কিংবা অতিথিদের মাঝে রাখা হয়নি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ শংকর কুমার কুন্ডু, ঠাকুরগাঁ জেলার দায়রা জজ গোলাম ফারুক রুমি, আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার ওলিউর রহমান, নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসার মাজহারুল ইসলাম তরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ফজল ই-খুদা, ৬ নং রানিহাটী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দুরুল হোদা, কেজিপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিউজ্জামান, রানিহাটী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবুল বাসার, কেজিপুর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ নূহু, রানিহাটী ইউপি আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল আজিম প্রমুখ। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলামের এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্যি এবিষয়টি আমাদের জন্য লজ্জার ও দূর্ভাগ্য জনক। কারন এতবড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানালেও স্বয়ং বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অতিথি করা কিংবা আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সভাপতি ছাড়া আপনি কেনো এই টুর্নামেন্টে গেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি পূর্বের খেলাগুলোতে উপস্থিত হলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যায়নি। পূর্বের খেলাগুলোতে সভাপতিকে না বলে কেনো গেলেন? এমন প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি। এবং একটি জরুরি অনুষ্ঠানে খুব ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন। অপরদিকে, এই পুর্নমিলনী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আতিক হাসান মুঠোফোনে জানান, আমি পরিস্থিতির স্বীকার, এতকিছু ফোনে বলা সম্ভব নয়, এখন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আছি সাক্ষাতে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, কয়েকজন স্কুল শিক্ষক এবং কলেজের প্রফেসর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সত্যি এটা আমাদের জন্য লজ্জা ও অপমানজনক। আর এটি একটি স্বার্থাম্বেশী মহলের ইন্দনে করা হয়েছে। যেটা শিক্ষার্থীদের নামে টুর্নামেন্ট করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকদের অপমান করা হয়েছে। যা আমাদের মতো শিক্ষক ও সচেতন মহলের কাম্য নয়।