টুটুল রবিউল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ‘আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাঁচান’ এমন আকুতি জানিয়ে কেঁদে ফেললেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বটতলাহাটের হাটপাড়া এলাকার তরতাজা যুবক মোঃ সাহিদ (৩৫)। ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সাহিদের পিতা আব্দুস সামাদ (সাবান)। আব্দুস সামাদের মেজো ছেলে সাহিদ। বড় ছেলে করোনার কারণে বিদেশ ফেরত বেকার। ছোট ছেলে স্থানীয় কসাই এর কাজ করে। খেটে খেলেও সামাদের সংসারে কোন অভাব ছিলনা। কিন্তু ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। মেজো ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাঃ আব্দুল মজিদের নিকট চিকিৎসা করান। সেখানেই কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ডাঃ আব্দুল মজিদের পরামর্শে রাজশাহীতে ডাঃ নুরুল ইসলামের নিকট চিকিৎসা নিতে গিয়ে জানতে পারেন ছেলের দু’টো কিডনিই নষ্ট (৬০%, বর্তমানে ৮০%)। তারপর থেকেই সপ্তাহে ২ বার ডায়ালাইসিস করতে হয় ছেলে সাহিদের। মাসে ২বার রক্তও দিতে হয়। কারণ সাহিদের শরীরে রক্ত ও ক্যালসিয়াম উৎপাদন ক্ষমতা শুন্যের কোঠায়। তাছাড়াও সাহিদ হার্টের সমস্যায় ভুগছে। প্রতিমাসে ছেলের চিকিৎসা খরচ ২০ হাজার টাকা (প্রায়)। নিজে তিনি এক কাঁসা পিতল কারখানার কর্মচারী, বড় ছেলে বেকার। ছেলের চিকিৎসায় ২ বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছেন তিনি। তাও ছেলে সাহিদকে সুস্থ করতে পারেন নি। বর্তমানে টাকার অভাবে ছেলের ডায়ালাইসিস করাতে পারছেন না তিনি। এলাকার কিছু প্রবাসী সন্তানের আর্থিক সাহায্যে ছেলের চিকিৎসা চলছে, তাই কোন সপ্তাহে ডায়ালাইসিস হয় আবার কোন সপ্তাহে করাতে পারেন না টাকার অভাবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিসত্বর সাহিদের কিডনি প্রতিস্থাপন করা না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। দেশে কিডনী স্থাপন করতে খরচ (কিডনি ছাড়াই) ৫ লক্ষ টাকা এবং ভারতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ রুপি বলে জানাই অসুস্থ সাহিদ। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেননা- একথা বলতে বলতে দু’চোখে অশ্রু ঝরে পড়লো বাবার। ছেলেকে বাঁচাতে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে সমাজের বিত্তবানদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানান। তাই ছেলেকে বাঁচাতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কেউ সাহায্য করতে চাইলে- অসুস্থ সাহিদের বিকাশ নং-০১৭২২১৮৭৩১১ অথবা মোবাইল নং-০১৭৯৭-২৭৪৭১০ (সামাদ/সাবান) এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন আব্দুস সামাদ (সাবান)।